হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক : চট্টগ্রামে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানাধীন বাদামতল এলাকায় মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র। এ সময় ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) ও তার সহযোগী ছৈয়দ নুর ওরফে রুবেল হোসেনকে (৩০) আটক করেছে র‌্যাব-৭ এর একটি টিম। একসময়ে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকের বাহক থেকে আজিম এখন মাদকের ডিলার। গত শনিবার বিকালে বিপুল ইয়াবাসহ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হলেও গতকাল রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা। উদ্ধার করা ইয়াবার বর্তমান বাজার মূল্য কমপক্ষে সাড়ে ৬ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা টেকনাফ, উখিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার, চোরাই পণ্য-সিগারেটের বিশাল চালান জব্দ করা হয়। সেখান থেকে ইয়াবারও একটি বড় চালান আটক করা হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যেরভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরের মাদকের ডিলার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সেই তথ্যেরভিত্তিতে শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের মাদক সম্রাট মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী ও মো. ছৈয়দ নুর ওরফে রুবেল হোসেনকে আটক করা হয়। এরপর আটককৃতদের দেয়া তথ্যেরভিত্তিতে বসতঘরের পাশে একটি গুদাম ঘরে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় আনুমানিক ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা এবং পানির নিচে বিশেষ কায়দায় পলিব্যাগের ভেতর লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ২টি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. আজম ৫-৬ বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রাথমিক অবস্থায় সে ইয়াবা সরবরাহের কাজ করত। পরবর্তীতে ইয়াবার বড় চালান পেয়ে বসতঘরের টিনশেড বেষ্টিত একটি ঘরের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে তা বস্তায় ভরে লুকিয়ে রেখেছিল। সে ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ মাটি চাপা দিয়ে মজুত করে রাখত। পরবর্তীতে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে ছোট ছোট প্যাকেটে করে ইয়াবার চালান সরবরাহ করত। র‌্যাব-৭ অধিনায়ক জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো এবং মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবহার করত। অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাঁশখালীর অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ ও ছৈয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বলে স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সাগর পথে মিয়ানমার থেকে সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসছিল। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর ও মামলা করা হচ্ছে বলেও জানান র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়