হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

তরমুজ চাষে সাড়া ফেলেছে ক্লাইমেট স্মার্ট পদ্ধতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন, কয়রা (খুলনা) : অসময়ে তরমুজ চাষ হচ্ছে উপকূলীয় কয়রার লবণাক্ত ঘেরের আইলে। অফ সিজনে তরমুজ চাষ করে কৃষকরা পেয়েছেন সফলতা। অসময়ের তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মাছের ঘেরের আইলে অসময়ের এ তরমুজ চাষ সম্প্রসারিত করা গেলে এ অঞ্চলে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে, পাশাপাশি অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ঘেরে মাছ ও ধান চাষ হলেও ঘেরের পাড় (আইল) থেকে ৮-১০ হাত পর্যন্ত পানির উপরে মাচা করে এ তরমুজ চাষ হচ্ছে।
উপজেলার আমাদি কিনু কাটি গ্রামের কৃষক অমল কৃষ্ণ মিস্ত্রি নিজের ৬ বিঘা ঘেরের চারপাশের আইলে তিন শতাধিক মাদায় চাষ করা কালো মানিক রংধনু ও রঙ্গিলা জাতের ৬০০-৭০০ গাছে এ পর্যন্ত ২৫ মণ তরমুজ বিক্রি করেছেন। বাগালি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক তৌহিদুর রহমান আট বিঘা জমির চারপাশের ঘেরের আইলে একই জাতের তরমুজ চাষ করে ৪৫ মণ বিক্রি করেছেন। মণপ্রতি ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি করে মহাখুশি তিনি। বগা গ্রামের শাহিনুর রহমান, জয়দেব মিস্ত্রি, অসীম বিশ্বাস, যোগেশ বারোপোতা গ্রামের বঙ্কিম মাস্টার ইসলামপুরের রুহুল মোড়ল আজিজুল গাজী ও জহুরুল ঘেরের আইলে প্রথমবারের মতো অসময়ের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন। ধান ও মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের আইলে তরমুজ চাষ করে লাভবান হওয়ায় এলাকায় এই পদ্ধতির তরমুজ চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কৃষকরা বলেন, কয়রা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো ক্লাইমেট স্মার্ট পদ্ধতিতে ঘেরের আইলে অফ সিজনে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছি। মে মাসের শেষ সপ্তাহে এই তরমুজের বীজ বপন করি ৬০-৭০ দিন অর্থাৎ আগস্টের মাঝামাঝিতে ফল উঠানো শুরু করে এখনো ফল বিক্রি চলমান। এ মাসের শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারব। প্রথম পর্যায়ে তরমুজ শেষ হলে দ্বিতীয়বার বীজ বপন করবেন বলে জানান তারা। শীত পড়লে আবারো তরমুজ কাটা শুরু হবে। কৃষকরা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ এবং মাটি ও সার ব্যবস্থাপনার ফলে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এলাকাসহ পাশের গ্রামের লোকজন প্রতিনিয়ত দেখতে এসে তারাও এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্ষাকালে ঘেরের পাড়ে তরমুজ চাষ করায় সেচের প্রয়োজন হয় না, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায়। ক্লাইমেট স্মার্ট পদ্ধতিতে ফসল আবাদ করায় পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রযুক্তি উপকূলীয় এলাকায় ছড়িয়ে দিতে পারলে শুধু তরমুজ নয়, ঘেরের পাড়ের পতিত জমিতে সিম, টমেটো, হলুদ, মানকচু, লাউ কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা যাবে। এতে উপকূলীয় কয়রা অঞ্চলের কৃষিতে নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়