হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার শেরপুরে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে চেতনানাশক খাইয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম রিপন রায় (৩০)।
গত শনিবার রাতে শহরের সকালবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত রিপন রায় শেরপুর পৌর শহরের বসাকপাড়া মহল্লার বিদু রায়ের ছেলে এবং বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক। এর আগে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত চার বছর ধরে ওই তরুণী (২০) শহরের উত্তর সাহাপাড়ায় তার নানির বাড়িতে থাকতেন। দেড় বছর আগে ছাত্রলীগ নেতা রিপনের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। এরই সূত্র ধরে তার মুঠোফোনের নম্বর নেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। পরবর্তী সময়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি। এমনকি রাস্তা-ঘাটেও বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। সেই সঙ্গে তার প্রস্তাবে রাজি করার জন্য ওই তরুণীকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগও করা হয়। একপর্যায়ে ক্ষমতার দাপট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ৩০ আগস্ট বিকালে কৌশলে ওই তরুণীকে বেড়াতে নিয়ে যান। পরে জোর করে তাকে নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে তার নানির বাড়িতে নিয়ে যান।
রাত তখন অনুমান ৯টা। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। ঘরে ঢুকেই রিপন রায় তাকে ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ছাত্রলীগের বড় নেতা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। আইনের আশ্রয় নিতেও বাধার সৃষ্টি করে। এমনকি ঘটনার পর থেকে প্রায় সতের দিন তাকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। বলা চলে এক রকম গৃহবন্দি অবস্থা। তবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় থানায় এসে মামলা করি। আমি ন্যায়বিচার চাই।
শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার জানান, ওই ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার রাতে মামলা নেয়া হয়। সেই সঙ্গে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিপন রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর গ্রেপ্তারকৃতকে বগুড়ায় আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়