হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে নগরীর বন্দর থানার পোর্ট কলোনিতে একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে সুরমা আক্তার (৭) নামে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।
নিহত সুরমা নগরীর বড়পোল এলাকার একটি বস্তির বাসিন্দা রিকশাচালক মো. কাউছারের মেয়ে। শিশুটির মা হোসনে আরা ভিক্ষা করেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। কাউছারের দুই ছেলে, দুই মেয়ে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুরমার খালা জ্যোৎস্না বেগমের বাসাও বড়পোল এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যার দিকে খালার বাসায় যাওয়ার জন্য সুরমা নিজ বাসা থেকে বের হয়েছিল। গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে পোর্ট কলোনির ৮ নম্বর সড়কের মুখে একটি পরিত্যক্ত একতলা বাড়ির ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। এদিকে পোর্ট কলোনির স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই কলোনির বিভিন্ন ব্লকে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি পরিত্যক্ত বাসা আছে। এসব বাসায় সন্ধ্যার পর মাদকের আসর বসে। নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপও সেখানে হয়। পোর্ট কলোনির বাসিন্দা চট্টগ্রাম বন্দরের চাকরিজীবীরা বখাটে, মাদকসেবীদের উৎপাতে অতীষ্ঠ।
সুরমাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হলেও তাকে কীভাবে খুন করা হয়েছে এবং ধর্ষণের বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (বন্দর জোন) আবুল কালাম সহীদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা- ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটা আমরা আলামত দেখে নিশ্চিত হয়েছি। তবে সিআইডি আলামত সংগ্রহ করেছে। তারা একটা মতামত দেবে। এছাড়া ধর্ষণের বিষয় এবং কীভাবে খুন করা হয়েছে সেটা ময়নাতদন্তে জানা যাবে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে

পাঠানো হয়েছে।
নিহতের খালা জ্যোৎস্না বেগম বলেন, আমাদের বাসায় আসার জন্য সুরমা তার বাসা থেকে বের হয়। বড়পোল এলাকায় রাস্তায় আসার পর এক রিকশাচালক সুরমাকে ডেকে বলে, তুমি আমার সঙ্গে গেলে তোমাকে দুই প্যাকেট বিরিয়ানি কিনে দেব। এতে সম্মতি দিলে রিকশাচালক সুরমাকে রিকশায় তুলে দ্রুত চলে যায়। এ সময় সুরমাদের প্রতিবেশি এক মেয়েও সেখানে ছিল। প্রতিবেশী মেয়েটি বাসায় ফিরে এ ঘটনা সুরমার মাকে জানায়। তারপর থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু কোথাও তাকে না পেয়ে রাতে সন্ধান চেয়ে মাইকিংও হয়। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে একটি মেয়ের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি।
বন্দর থানার এসআই কিশোর মজুমদার বলেন, শিশুটির গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার তেমন দাগ দেখা যায়নি। শরীরেও তেমন জখমের কোনো চিহ্ন নেই। আমাদের ধারণা, ধর্ষণের সময়ই অল্পবয়সি মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। সন্দেহভাজন রিকশা চালককে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়