হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

কুমারখালী : ইটের বদলে মাটি দিয়ে সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাবীব চৌহান, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) থেকে : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু নির্মাণের পর ইট-পাথর ও বালুর পরিবর্তে শুধু মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে সংযোগ সড়ক। আর বৃষ্টির পানি জমে সেখানে তৈরি হয়েছে কাদা। ওই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারী ও মালবাহী যানবাহন। স্থানীয়দের অভিযোগ এখানে প্রায়ই যানবাহন উল্টে পড়ে আহত হচ্ছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে মালামাল নষ্ট হচ্ছে ও যানজট তৈরি হয়ে দুর্ভোগ বাড়ছে। এমন চিত্র উপজেলার পান্টি-বাঁশগ্রাম বাজার সড়কের চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা নামের সেতু এলাকায়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পথচারীরা অভিযোগ করে বলেন, ইট-পাথরের পরিবর্তে মাটি দিয়ে দায়সারা কাজ করা হয়েছে। তাই জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সেতু নির্মাণে সড়ক সংস্কার ব্যয় ধরা ছিল না। ফলে এমন ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। মোবাইল টিমের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে।
সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতুর ওপর ও সেতুর দুই পাশে কাদা সৃষ্টি হয়েছে। জমে আছে বৃষ্টির পানি, তৈরি হয়েছে গর্ত। পথচারীরা যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। মালবাহী প্রতিটি যানবাহন সেতুর পশ্চিম পাশের কাদায় আটকা পড়ছে। স্থানীয় ও পথচারীরা আটকে পড়া যানবাহনগুলো ধাক্কা দিয়ে চলাচলে সহযোগিতা করছে। এ সময় আটকে পড়া একটি মালবাহী করিমন গাড়িকে তুলতে অন্য একটি সেলো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি লাটাহাম্বাকে ধাক্কা দেয়ার দৃশ্যও দেখা যায়।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পান্টি বাজার আরএইচডি সড়ক থেকে বাঁশগ্রাম বাজার জিসি সড়কের ৩ হাজার ৮০০ মিটার চেইনেজে (কাঁচিকাটা সেতু নামের স্থান) তিন মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের বক্স সেতুর (কালভার্ট) অনুমোদন দেয় এলজিইডি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ ১২ হাজার ১৯৫ টাকা (চুক্তিমূল্যে)। সেতু নির্মাণের ঠিকাদার ছিলেন জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুরের মো. নজরুল ইসলাম। প্রায় ৬ মাস আগে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছেন তারা। কিন্তু সেতু নির্মাণ ব্যয়ের সঙ্গে সংযোগ সড়কের ব্যয় ধরা ছিল না। সেজন্য বালু, মাটি ও কিছু ইটের খোঁয়া দিয়ে সড়ক সংস্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে কাজের ঠিকাদার নজরুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দেয়া হয়। তবে তিনি কল রিসিভ করেননি। চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, কে কবে কোথায় কী কাজ করে তা ঠিকাদার ও প্রকৌশলী কেউ আমাকে জানায়নি। পাকা সড়ক ও পাকা সেতুতে কাদা হয় কীভাবে তা আমার মাথায় ঢোকে না। হয়তো কাজে অনিয়ম কিংবা কোনো ফাঁকফোকর রয়েছে। জনগণের ফোন পেয়ে কাঁচিকাটা সেতুতে গিয়েছিলাম। চরম জনদুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, অনেক আগেই সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সেতু নির্মাণ ব্যয়ের সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণ ব্যয় ধরা ছিল না। ফলে সংযোগ সড়ক সংস্কারে মাটি ব্যবহৃত হয়েছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়