চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : চিলমারীর দুর্গম চরাঞ্চল অষ্টমীরচর এলাকায় অজ্ঞাত রোগে ২ সপ্তাহে ৮টি মহিষ ও ১টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক গরু-মহিষ। এই অজ্ঞাত রোগের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন গরু-মহিষ পালনকারী কৃষকরা। প্রাণিসম্পদ দপ্তর নীরব ভূমিকা পালন করছে।
জানা গেছে, উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের সালিপাড়া (মানুষ মারার চর) এলাকায় গরু-মহিষের অজ্ঞাত রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগে প্রথমে মুখ ঘামতে থাকে পরে গলা ও পেট ফুলে শ্বাসকষ্ট হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে পশু মারা যায়। এ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২ সপ্তাহে ওই এলাকার নায়েব আলী নামে এক ব্যাক্তির ২টি এবং ফাজু মিয়া নামে একজনের দুটিসহ ৬টি মহিষ এবং সুমার মুন্সির ১টি গরু মারা যায়। পার্শ্ববর্তী নুরুজ্জামান মিয়ার ২টি মহিষ, কামরুজ্জামান মিয়ার ১টি মহিষ, ফাজু মিয়ার ১ মহিষ ও সুমার মুন্সির ১টি আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক গরু-মহিষ মারা গেলেও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
গত শনিবার সকালে সালিপাড়া এলাকার নুরুজ্জামান মিয়া তার ১টি অসুস্থ মহিষ নিয়ে প্রাণীসম্পদ দপ্তরে এসে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। এ সময় তিনি জানান, চরাঞ্চল থেকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে মহিষটি আনতে ৩ হাজার টাকা নৌকা ভাড়া দিয়েছেন তিনি। সালিপাড়া এলাকার সুখ চাদ আলী ও মান্নান ব্যাপারী জানান, তাদের গ্রামে অন্তত ২শ মহিষ রয়েছে। তারা আরো জানান, এই এলাকার নায়েব আলীর ৬টি মহিষ মারা যাওয়ায় তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আমরা গরিব মানুষ। অসুস্থ গরু-মহিষ নিয়ে উপজেলায় আসার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। অফিস থেকে চিকিৎসক পাঠিয়ে গরু-মহিষের চিকিৎসা প্রদানের অনুরোধ জানান তারা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে মহিষগুলো মারা গেছে। তবে গরু-মহিষ আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সালিপাড়া এলাকাটি রৌমারী সংলগ্ন হওয়ায় তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ওই এলাকার মহিষের বিষয়ে এখন থেকে খোঁজ রাখা হবে।