মর্টার শেল নিক্ষেপ,: রোহিঙ্গা নিহত, আহত ছয়জন

আগের সংবাদ

মাঠে মারমুখী আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

জনতা ব্যাংকের আরো এক খেলাপি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যেসব গ্রাহক এতদিন ভেবেছিলেন নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করেও পার পাওয়া যাবে। এসব গ্রাহকের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক লিমিটেড। এ ধরনের ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণের অর্থ ফেরত পেতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ব্যাংকটি। এর ফলে জনতা ব্যাংকের বেশ কিছু আলোচিত খেলাপি গ্রাহক স¤প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন। সর্বশেষ জনতা ব্যাংকের জামালপুর স্টেশন রোড শাখার একজন পলাতক খেলাপি গ্রাহককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখার গ্রেপ্তারকৃত এক খেলাপির কাছ থেকে ঋণের ২৫ শতাংশ পরিশোধ সাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত।
পুলিশ ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংক জামালপুর স্টেশন রোড করপোরেট শাখার গ্রাহক মো. মাহবুব সরকার ২০১৪ সালে নিজ প্রতিষ্ঠান সৌদি স্যানেটারির নামে ঋণ নেন। এরপর তিনি আর ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেননি। ব্যাংকের শাখা থেকে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। ঋণ পরিশোধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি এড়িয়ে চলছিলেন। পরে জামালপুর অর্থঋণ আদালতে এ বিষয়ে মামলা (নং ০১/১৭) করে ব্যাংক। আদালত ঋণের নথি পর্যালোচনা করে আসামিকে ৬ মাসের কারা দণ্ডসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এদিকে মামলার আসামি গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে কুমিল্লায় আত্মগোপন করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থন নিশ্চিত হয়ে অবশেষে গত সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর আসামি মাহবুব সরকারকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত আগের রায় বহাল রেখে খেলাপি আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপরদিকে জনতা ব্যাংক উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখার গ্রাহক সৈয়দা আঞ্জুমান আরা বেগম ২০০৯ সালে মেসার্স সুরমা ফেব্রিক্স এর নামে ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেননি। সর্বশেষ ৫২ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫২ টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার অর্থঋণ আদালতে মামলা (নং ৪১৩/২০) করে ব্যাংক। ঋণের নথি পর্যালোচনার পর আদালত আসামিকে ৫ মাসের কারাদণ্ডসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে উপস্থিত করা হলে গত ৮ আগস্ট আদালত আসামিকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এক মাস কারাভোগের পর আসামি সৈয়দা আঞ্জুমান আরা বেগম গত ৮ সেপ্টেম্বর দাবিকৃত ঋণের ২৫ ভাগ ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৮ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে আদালতে জমা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিকে ৯০ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। গত বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর পে-অর্ডারের অর্থঋণ হিসাবে নগদায়ন করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে আমরা অত্যন্ত আন্তরিক। এজন্য যেসব খেলাপি গ্রাহক দীর্ঘ সময় ধরে ঋণ পরিশোধে সময়ক্ষেপণ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু দৃষ্টান্ত সবাই দেখতে পেয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়