মর্টার শেল নিক্ষেপ,: রোহিঙ্গা নিহত, আহত ছয়জন

আগের সংবাদ

মাঠে মারমুখী আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

ছাত্র ইউনিয়নের সমাবেশে বক্তারা : শ্রেণি বিভাজনের শিক্ষা নয় মানুষ গড়ার শিক্ষা চাই

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘শ্রেণি বিভাজনের শিক্ষা নয়, মানুষ গড়ার শিক্ষা চাই’- স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষা দিবসের ৬০তম বার্ষিকীতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় একটি র?্যালিও বের হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু প্রমুখ।
অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, যে দাবিতে ৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন হয়েছিল তা এখনো পূরণ হয়নি। সেদিন যারা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারাই এখন সরকার পরিচালনা করছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন, আপনারা কেন শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছেন? এখন আর কোনো স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নাই, সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে। এখানে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয় সরকারি দলের বিবেচনায়। শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে ফিরে আসার পথ কঠিন। গণআন্দোলন ছাড়া মুক্তির পথ নেই।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমরা ছাত্র ইউনিয়ন ১৯৬২ সালে লড়াই করেছিলাম একটা শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষানীতির জন্য, আজো লড়াই করে যাচ্ছি একই দাবিতে। তিনি বলেন, দিনে দিনে এই সরকার শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করছে, একইসঙ্গে পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে শিক্ষাকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার সা¤প্রদায়িকীকরণ এবং শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন সংগঠন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হল দখল করে, গণরুম, গেস্টরুমের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যদিয়ে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক কাজী রাকিব, ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম মিমো, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রেজোয়ান হক মুক্ত, গাজীপুর জেলা সংসদের সভাপতি দিদারুল ইসলাম শিশির, মানিকগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি রাসেল আহম্মেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না জানা অনেকেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়