মর্টার শেল নিক্ষেপ,: রোহিঙ্গা নিহত, আহত ছয়জন

আগের সংবাদ

মাঠে মারমুখী আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

কুতুবদিয়ায় ২৪ দিন ধরে ঘরবন্দি ৪ পরিবার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কুতুবদিয়ায় ঘরবন্দি হয়ে আছে ৪ পরিবার। বাড়ি থেকে বের হবার সব পথ বন্ধ করে দেয়ায় স্কুল-মাদরাসায় যেতে পারছে না ৪ শিক্ষার্র্থী। উপজেলা সদর বড়ঘোপ রোমাই পাড়ায় এই অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে প্রতিবেশীরা। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার , ইউএনও গিয়েও এই অবরুদ্ধের সুরাহা মেলেনি।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৯০ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ ওই পাড়ায় ৫ দশক ধরে বসবাস করে আসছেন। স্ত্রী-পুত্র কন্যাসহ এখন তাদের ৪ পরিবারে ২০ জন সদস্য রয়েছেন। বাড়ির পশ্চিমে নুরুল আমিন, দক্ষিণে সাইফুল, মনির, উত্তরে আব্দুল বাসেত, নুরুল কাদের ও পূর্ব পাশে সোলেমানের বসবাস। বৃদ্ধের ছেলে হাফেজ মনির হোসেন, সাবেক ইউপি মেম্বার মো. হোছাইন বাদশা জানান, দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর দক্ষিণ পাশে বের হবার রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রায় দু’বছর আগে। পুর্বপাশে রাস্তার জন্য সাড়ে ৪ কড়া জমি কিনেছে ২০১৯ সালে। এক মাসের সময় নিলেও ঘর সরিয়ে নেয়নি সোলায়মান। পশ্চিমে কয়েক পরিবারের শত বছরের পারিবারিক রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে অন্তত দু’বছর ধরে। হঠাৎ অজ্ঞাত কারণে বাড়ির পেছনে নুরুল আমিন ও তার ভাইয়েরা রাতারাতি দেয়াল তুলে দেয় ২৪ দিন আগে।
বাড়ির চারদিকে বের হবার রাস্তা সব বন্ধ হওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৪টি পরিবার। ওই পরিবারের ৮ম শ্রেণির তবারেকা, ৭ম শ্রেণির রহিমা আক্তার, ২য় শ্রেণির সুমি, শিশু শ্রেণির আব্দুল্লাহ আল আমিনের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ ২৪ দিন ধরে। এমন অমানবিক বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউএনও পরিদর্শন করেন ৯ দিন আগে। কিন্তু আশ্বাস দেয়া হলেও কাজ হয়নি।
স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মালেক বলেন, তিনি কয়েকবার সেখানে গেছেন, অবরুদ্ধ বাড়িটির সামনে কেনা জায়গা দখলমুক্ত হয়নি। হঠাৎ পেছনের দেয়াল তৈরির ফলে চর্তুদিকে অবরুদ্ধ এই ৪ পরিবার। বিষয়টি সুরাহা করতেও পারছেন না। হঠাৎ দেয়াল দেয়া নুরুল আমিনের ছেলে লাবিদ (আবুল) বলেছেন, তাদের পারিবারিক রাস্তা এটি। বাহিরের কারো যাতায়াত করার সুযোগ নেই। প্রয়োজন না থাকায় তারা বাউন্ডারি দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে অবরুদ্ধ বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন। পর্যায়ক্রমে সব রাস্তা বন্ধ হওয়ায় তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। উপজেলা চেয়ারম্যান এলে বিষয়টির তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বর্তমানে ওই পরিবারটির চারিদিকে বের হবার রাস্তা বন্ধ। তিনি পরিদর্শন করেছেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে সমাধান করার দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়