মর্টার শেল নিক্ষেপ,: রোহিঙ্গা নিহত, আহত ছয়জন

আগের সংবাদ

মাঠে মারমুখী আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

কর্ণফুলী পেপার মিলের কোয়ার্টার : অবৈধ বিদ্যুৎ, গ্যাস ব্যবহারে মাসে লাখ টাকা লোকসান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ ইলিয়াছ, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : বিসিআইসির নিয়ন্ত্রিত চন্দ্রঘোনার কর্ণফুলী পেপার মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য নির্মিত কোয়ার্টারগুলোতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি ব্যবহার করায় প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। অবৈধ বসতিদের বিরুদ্ধে কেপিএমের বাসাবাড়ি ছেড়ে দিতে ইতোমধ্যে নোটিস দেয়া হয়েছে বলে মিল সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) প্রতিষ্ঠার পর শ্রমিক-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য মিলের অভ্যন্তরে শত শত কোয়ার্টার ভবন ও কলোনি নির্মাণ করা হয়। এসব বাসাবাড়িতে কর্মরত স্টাফদের স্বল্পমূল্যে চুক্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয়। কেপিএমে নানামুখী সংকট ও কাগজ উৎপাদন কমে গেলে কয়েক দফায় কেপিএম কর্তৃপক্ষ শত শত শ্রমিক-কর্মচারীকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
কিন্তু বদলি হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করলেও কেপিএমে বরাদ্দকৃত বাসাবাড়ি ছেড়ে দেয়নি শত শত শ্রমিক-কর্মচারী। কেপিএমের নিয়ম না মেনে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবার-পরিজন বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা সূত্রে জানা যায়, কেপিএম কর্মস্থল থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছে যারা তাদের তালিকা করা হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে অবৈধভাবে বাস করা শ্রমিক-কর্মচারীদের বাসা ছেড়ে দিতে নোটিস দেয়া হয়েছে। এসব অবৈধ বাসিন্দারা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহার করায় মিল কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনছে। বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা গেলে লোকসান কমে আসবে বলে মিলের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
কর্ণফুলী পেপার মিলের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, কেপিএম থেকে অন্যত্র বদলি হওয়ার ৩ মাস পর বাসা ছেড়ে দেয়ার নিয়ম থাকলেও অনেকে তা মানছে না। অবৈধভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারের কারণে মিলে লোকসান হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়