পল্টনে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য-হকার সংঘর্ষে আহত ৬

আগের সংবাদ

জোয়ারের পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি : কলাপাড়ার ৬০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই কাঁচা

পরের সংবাদ

২০ দিন ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন: পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : কুলাউড়ায় পল্লী বিদ্যুতের এক গ্রাহককে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও ২০ দিন থেকে ওই গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। স্থানীয় ব্রাহ্মণবাজার এলাকাবাসীর আয়োজনে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় কুলাউড়া স্টেশন চৌমহনীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ছয়ফুল ইসলাম ও সমাজকর্মী নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
জানা যায়, এক মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সত্ত্বেও পল্লী বিদ্যুৎ বরমচাল অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন তার লোকজনদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের গ্রাহক লুৎফুর হায়দারের বসতবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ গত ২৮ আগস্ট বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ৮ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী গ্রাহক আজিজুল হায়দার সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুৎ কুলাউড়া সাব-জোনাল অফিসের এজিএম নাজমুল হক তারেক ও বরমচাল অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীনের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির কথা তুলে ধরেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানির কথা তুলে ধরায় সংযোগ বিচ্ছিন্নের ১২ দিন পর গ্রাহক আজিজুল হায়দারের ভাই লুৎফুর হায়দারকে উল্টো হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ সত্ত্বেও ২০ দিন ধরে গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। উল্টো ভুক্তভোগী গ্রাহককে হয়রানিমূলক একটি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পল্লী বিদ্যুতের ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রাহক লুৎফুর হায়দারের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিদ্যুতের সংযোগ পুনঃস্থাপনের দাবি জানানো হয়। তাছাড়া তাদের (ওই দুই কর্মকর্তা) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। ভুক্তভোগী গ্রাহক আজিজুল হায়দার বলেন, ‘আমার মা একজন ডায়াবেটিস, হার্ট ও পেসারের রোগী। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও ২০ দিন ধরে আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন না করায় আমার অসুস্থ মা মাহমুদা খানম অতি গরমে কষ্টের মধ্যে আছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় আমার মায়ের পায়ের হাড় ক্ষয় ও কোমরের হাড় ক্ষয়ের জন্য থেরাপি এবং শ্বাসকষ্টের জন্য নেবুলাইজার (গ্যাস) দিতে পারছি না। আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি জানাচ্ছি।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কুলাউড়ার সাব-জোনাল অফিসের এজিএম এম নাজমুল হক তারেক বলেন, ওই গ্রাহক পুনঃসংযোগের কোনো আবেদন করেননি। আবেদন করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়