পল্টনে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য-হকার সংঘর্ষে আহত ৬

আগের সংবাদ

জোয়ারের পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি : কলাপাড়ার ৬০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই কাঁচা

পরের সংবাদ

স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য আকবর আলি খানের নাম প্রস্তাব হবে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আপসহীন ভূমিকার কারণে আকবর আলি খানকে জাতি মনে রাখবে- এমন মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। দেশের প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদকে স্বাধীনতা পদক ও বাংলা একাডেমি পদকে ভূষিত করারও দাবি জানান তারা। এমন দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে আগামীতে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানে আকবর আলি খানের নাম প্রস্তাব করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান।
আকবর আলি খানের স্মরণে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে দুটি সভার আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির। বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শোকসভার আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীননগর রসুল্লাবাদ ইউ এ খান উচ্চবিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি। ইঞ্জিনিয়ার আবুদল হেকিমের সভাপতিত্বে শোকসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর সালেহউদ্দীন আহমেদ। আরো স্মৃতিচারণ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান, আকবর আলি খানের ছোট ভাই কবির আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দীন, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ। শোকসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান বলেন, আকবর আলি খানের চেহারা ছিল রাশভারী ও গম্ভীর, কিন্তু মন ছিল রসিক। রসিকতার প্রমাণ পাওয়া যায় তার বইগুলোর মধ্যে। এ সময় তিনি জানান, আগামীতে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানে আকবর আলি খানের নাম প্রস্তাব করা হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হোসেন বলেন, আকবর আলি খান একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন। এসব পরিচয় ছাপিয়ে তার লেখকসত্তাটিই বড় হয়ে ওঠে। যখন দেশে সত্য বলার মানুষের বড় অভাব, তখন তিনি সাহস করে সত্য বলতেন। কে কী ভাবলেন এর পরোয়া করতেন না। তিনি ছিলেন সর্বাংশে দলীয় বৃত্তের বাইরের মানুষ। সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ন্যায়ের প্রশ্নে পদত্যাগ করেছেন। এমন মানুষকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর বড় মাধ্যম হলো তার বইগুলো পড়া। তরুণরাই তার বইগুলো পড়বে, শিক্ষা নেবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বিশ্বাস করতেন, তরুণরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্মরণসভায় এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে আকবর আলি খানের ভূমিকা ছিল অনন্য। রাজনৈতিক বিভাজনে কখনো নিজেকে সম্পৃক্ত করেননি তিনি। অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের স্বনামধন্য গবেষকদের তালিকা তৈরি করলে তাতে আকবর আলি খানের নাম থাকবে। ‘দ্য ডিসকভারি অব বাংলাদেশ’ বইয়ে প্রান্তিক পর্যায় থেকে দেশের মানুষের জীবনকে যেভাবে আকবর আলি খান তুলে এনেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়