পল্টনে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য-হকার সংঘর্ষে আহত ৬

আগের সংবাদ

জোয়ারের পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি : কলাপাড়ার ৬০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই কাঁচা

পরের সংবাদ

রাশেদ খান মেনন : শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো ও রেশনিং চালুর দাবি যৌক্তিক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গার্মেন্টসহ সব শ্রেণির শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো ও রেশনিং চালু করা যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, শ্রমিকদের দাবিগুলো পুরনো ও দীর্ঘদিনের। করোনার শুরু থেকে শ্রমিকরা এক অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। তাদের মালিকরা একবার কাজে এনেছেন, আবার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। তারপরেও শ্রমিকরা কম বেতনে জীবন বাজি রেখে কাজ করে গেছেন, দেশের অর্থনীতি সচল রেখেছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন নাহার, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জোবায়দা পারভীন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম রাজু, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফা আক্তার প্রমুখ।
রাশেদ খান মেনন বলেন, এরই মধ্যে গার্মেন্ট আমদানিকারক দেশগুলো অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আমদানি কমিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ। পণ্যমূল্য না পাওয়ার কথা বলে শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক না দেয়ার পাঁয়তারা করছে মালিকরা। বিদেশি রপ্তানির অজুহাতে শ্রমিকদের মজুরি না বাড়ানো অন্যায়।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মজুরি বাড়ানোর পর বলা হয়েছিল তিন বছর পর মজুরি বাড়ানো হবে। এখন সময় এসেছে মজুরি বাড়ানোর। তাই শ্রমিকদের পাশাপাশি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ। জিনিসপত্রের যে দাম তাতে রেশন ছাড়া ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে চলা সম্ভব নয়। আবার ফ্যামিলি কার্ড গার্মেন্টস শ্রমিকরা পায় না। শ্রমিকরা কাজের জন্য ওএমএস (খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি) কার্ডও পায় না। তাই রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু করতে হবে। রেশনের দুর্নীতির কথা বলে শ্রমিকদের বঞ্চিত করা অযৌক্তিক।
তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মচারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস পেলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কেন এ ছুটি পাবে না? এ ছুটি না দিয়ে গার্মেন্টের নারী শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। দাবি আদায়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে আরো শক্তিশালী হতে হবে।
নেতাদেরকে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে হবে।
এর আগে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম- নায্য মজুরি, শ্রম ও শিল্পবান্ধব শ্রম আইন, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রভৃতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়