পল্টনে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য-হকার সংঘর্ষে আহত ৬

আগের সংবাদ

জোয়ারের পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি : কলাপাড়ার ৬০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই কাঁচা

পরের সংবাদ

রামগতির ভুলুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহসামগ্রী লুট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রামগতি (ল²ীপুর) প্রতিনিধি : রামগতিতে ভুলুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুরাতন বসতঘরের কাঠ, টিনসহ অন্য গৃহ নির্মাণ উপকরণ লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে।
উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য তৈরি করেছিলেন ভুলুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প। যার মাধ্যমে ঠিকানা দিয়েছিলেন ১৬০টি ছিন্নমূল পরিবারকে।
ঘরগুলো জরাজীর্ণ ও বসবাস অনুপযোগী হওয়ায় সরকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে।
আশ্রয়ণের সুফলভোগীরা জানান, নতুন বাসগৃহ নির্মাণে পুরাতন ঘরগুলো ভেঙে অন্যত্র সাময়িকভাবে ঘর তুলে বসবাস করার জন্য বলে সেনাবাহিনী। সে অনুযায়ী বসবাসকারীরা ঘরগুলো ভাঙার কাজ শুরু করে। বাধ সাধেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার সেলিম। তারা মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক পুরাতন ঘরের টিন, কাঠসহ অন্য উপকরণ ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে আশ্রয়ণবাসীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। লুটের সময় চেয়ারম্যান, মেম্বার হুমকি দেন, যারা পুরাতন সামগ্রী নিতে বাধা দেবে তারা নতুন ঘর পাবে না। আশ্রয়ণবাসীদের শত অনুনয় বিনয়ের পরও চেয়ারম্যান ও মেম্বার উপকরণগুলো নিয়ে যান। বেশির ভাগ কাঠ, টিন নিয়ে যান চেয়ারম্যান। আর মেম্বার সেলিম কাঠ, টিন নিয়ে তার বাড়ির বাউন্ডারি দেয়, আর কিছু কাঠ, টিন এখনো তার বাড়িতে স্তূপ করা রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ছাপড়া ঘর তুলতে না পারায় বর্তমানে অন্যের ঘরে কিংবা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। আশ্রয়ণের বসবাসকারীরা তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া ঘরের উপকরণগুলো উদ্ধারের দাবি জানান।
ইউপি মেম্বার সেলিম একটি মামলায় পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার বাড়ির আঙিনায় আশ্রয়ণের ঘরের টিন, কাঠসহ অন্য উপকরণ স্তূপ আকারে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আশ্রয়ণের নতুন ঘর নির্মাণ কাজের সেনা কর্মকর্তা বলেন, আমরা নতুন ঘর নির্মাণ করব। পুরাতন ঘরের উপকরণ বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম শান্তনু চৌধুরী বলেন, এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। কেউ কোনো ধরনের অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়