পল্টনে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য-হকার সংঘর্ষে আহত ৬

আগের সংবাদ

জোয়ারের পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি : কলাপাড়ার ৬০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই কাঁচা

পরের সংবাদ

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর : অবৈধ পণ্যসহ ভারতীয় ট্রাক জব্দ হলেও নেয়া হয়নি আইনি ব্যবস্থা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাচারের সময় এলইডি লাইটসহ ৬টি পণ্যের একটি ভারতীয় ট্রাক জব্দ করার ৭ দিনেও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ১১ সেপ্টেম্বর ট্রাকটি জব্দ করা হয়। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মধ্যে দায় নিয়ে রশি টানাটানির কারণে এখনো আইনি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অবৈধ এসব মালামাল নামিয়ে নিয়ে পাথরসহ ট্রাকটি এখনো আটক রাখা হয়েছে।
কাস্টমস ও ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, মেসার্স ট্রেড ফেক্টরস নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে পাথর আমদানি করে। এই আমদানির ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিংয়ের দায়িত্ব নেয় মেসার্স খান এন্ড সন্স। খান এন্ড সন্সের মূল লাইসেন্সধারী এজেন্ট সুশান্ত দাস হিলি স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালন করলেও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে তার পক্ষে দায়িত্বে আছেন চন্দন দাস। চন্দন দাসের তত্ত্বাবধানে গত রবিবার বেলা ১১টায় ভারতীয় একটি ট্রাক পাথর নিয়ে স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। ওজনের সময় সন্দেহ হলে ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের একজন সিকিউরিটি গার্ড ট্রাকটিতে তল্লাশি চালান। এ সময় তিনি পাথরের ট্রাকের ভেতর ৩ বস্তা গম, ৪ বস্তা ভুট্টা, ৪ বস্তা বেনটনিক মাটি, পাইপ কাটার লোহা, এলইডি লাইট ৪টি এবং ট্রাকের ৩টি ব্যাটারি পান। পরে ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, অবৈধ পন্থায় আনা মালামালগুলো চন্দন দাস ভারত থেকে নিয়ে আসেন। তবে অবৈধভাবে এসব মালামাল আনার দায়িত্ব অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি জানান, ট্রাকের ড্রাইভার সুকুমার বর্মন এবং আমদানিকারক ট্রেড ফেক্টরস ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসেন। এর দায় আমার নয়। খান এন্ড সন্সের মূল স্বত্বাধিকারী সুশান্ত দাস জানান, সিএন্ডএফ এজেন্ট এত ছোট পেশা নয় যে, পাথরের ট্রাকে অবৈধভাবে ৩-৪ বস্তা গম বা ভুট্টা আনবে। তিনি ট্রাকচালককে দায়ী করেন।
অন্যদিকে ট্রেড ফেক্টরসের ম্যানেজার সজিব বিন সাঈদ জানান, সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ মালামাল নিয়ে এসেছে। আমরা তাদের পাথর আমদানির জন্য ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা এখনো পাথর পাইনি। ট্রাকের ড্রাইভার সুকুমার বর্মন বলেন, পাথরের ট্রাকে কে বা কারা এসব মালামাল রেখেছে আমি জানি না।
নাম গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্ট জানান, এর আগে চন্দন দাসের অনৈতিক ব্যবসার কারণে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত হয়েছে। তিনি সবসময় বিকাল ৫টার পরে স্থলবন্দরে প্রবেশ করে গভীর রাত পর্যন্ত থাকেন। মাদকসহ অন্যান্য অবৈধ ব্যবসায় তার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।
বাংলাবান্ধা স্থল-শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুল হক ফিরোজ জানান, যেহেতু বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষ মালগুলো আটক করেছে তাই তাদেরই আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যদিকে বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লি. ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবৈধ মালামাল আমরা কাস্টমসকে বুুঝিয়ে দিয়েছি। আইনি ব্যবস্থা তারাই নেবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়