পল্টনে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য-হকার সংঘর্ষে আহত ৬

আগের সংবাদ

জোয়ারের পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি : কলাপাড়ার ৬০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই কাঁচা

পরের সংবাদ

আইপিএএমএসের সমাপনী অনুষ্ঠান : বৈশ্বিক শান্তি বজায় রাখতে কাজ করবে ২৪ দেশের সেনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আঞ্চলিক তথা বৈশ্বিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ অংশগ্রহণকারী ২৪টি দেশের সামরিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেনারেল শফিউদ্দিন এবং জেনারেল ফ্লিন বিদায়ী বক্তব্য রাখেন এবং আইপিএএমএস-২০২২ এ অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন। এছাড়া পরবর্তী আয়োজক হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির কাছে আইপিএএমএসের পতাকা হস্তান্তর করা হয়। সবশেষে বাদ্যযন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বিদায়ী বক্তব্যে জেনারেল ফ্লিন বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার দৃঢ় বার্তা পাঠাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৪টি দেশের স্থল বাহিনীর কর্মকর্তারা এই সম্মেলনে একত্রিত হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে এই সম্মেলন আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্যদিকে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বন্ধুর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৬তম আইপিএএমএস-২০২২ এর উদ্বোধন করেন। গত ১২-১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী এই সম্মেলনে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ’ নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ২৪টি দেশের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা। এবারের সম্মেলনে ‘বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা’, ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ এবং ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্থল বাহিনীর ভূমিকা’ বিষয়ে ৩টি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের একটি পর্ব কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি’ বিষয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হন অংশগ্রহণকারী সামরিক কর্মকর্তারা। এছাড়া জুনিয়র কর্মকর্তারা পেশাদারিত্বের ওপর পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শেষে প্রতিনিধি দলটি উখিয়ায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শনের মাধ্যমে ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।
সম্মেলনের তৃতীয় দিনে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এরপর সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ‘বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা’, ‘নারীর ক্ষমতায়ন’, এবং ‘আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে স্থল বাহিনীর ভূমিকা’ শীর্ষক বিষয়ে ব্রেক আউট সেশনে অংশগ্রহণ করেন। এসব কর্মকাণ্ড ছাড়াও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে আগত অতিথিদের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বেগবান হবে এবং এই অঞ্চল তথা বিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রকাশ ও সুনাম আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। আইএসপিআর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়