মিতু হত্যাকাণ্ড : আদালতে চার্জশিট দাখিল, শুনানি ১০ অক্টোবর

আগের সংবাদ

নতুন ৮ নদীর পানিবণ্টনে নজর : আলোচনায় সম্মত বাংলাদেশ ও ভারত, আগামী মার্চ এপ্রিলে ঢাকা সফরের সম্ভাবনা ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রীর

পরের সংবাদ

জাতিসংঘ দূত ইয়ান ফ্রাই : জলবায়ু আন্দোলন কর্মীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করা বাড়াবাড়ি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারী ও জলবায়ু আন্দোলনের কর্মীদের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে অভিযুক্ত করা ‘মারাত্মক রকম বাড়াবাড়ি’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ইয়ান ফ্রাই। চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে ১০ দিন সফর শেষে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সফরকালে জলবায়ু আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে আলাপের সূত্রে সংবাদ সম্মেলনে ইয়ান ফ্রাই বলেন, কয়লাভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বোঝা যায়, জলবায়ু আন্দোলনের কর্মীদের কণ্ঠরোধ করতে সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) ব্যবহার করছে। এটা বাড়াবাড়ি। ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত না হয়ে নিজের মতপ্রকাশ করার অধিকার মানুষের আছে।
ইয়ান ফ্রাই বলেন, তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন, যারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বন কাটা, জমি দখল ও পানীয় জলের অভাবে তাদের প্রথাগত জীবনযাত্রা হুমকির মুখোমুখী বলেও তারা এই জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞকে জানান। এসব জনগোষ্ঠীর মানুষকে সরকার ‘আদিবাসী’ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করায় তাদের অধিকারগুলোও অবহেলিত রয়ে গেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণামে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে উল্লেখ করে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত বলেন, মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যাচ্ছে। আশ্রয় নিচ্ছে বস্তিতে, যেখানে নিজেদের মৌলিক অধিকারগুলো থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। নারী ও শিশুরা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক তহবিল দরকার বলে উল্লেখ করে ইয়ান ফ্রাই বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বোঝা বাংলাদেশ একা বয়ে বেড়াতে বাধ্য হওয়া সমীচীন নয়। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করা দরকার। তিনি বলেন, অধিক কার্বন নিঃসরণকারী শিল্পোন্নত দেশগুলো মূলত এসব ক্ষতির জন্য দায়ী। তিনি দূষণের জন্য দায়ী এসব ধনী দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়