মিতু হত্যাকাণ্ড : আদালতে চার্জশিট দাখিল, শুনানি ১০ অক্টোবর

আগের সংবাদ

নতুন ৮ নদীর পানিবণ্টনে নজর : আলোচনায় সম্মত বাংলাদেশ ও ভারত, আগামী মার্চ এপ্রিলে ঢাকা সফরের সম্ভাবনা ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রীর

পরের সংবাদ

গণধর্ষণ-ভ্রূণহত্যার অভিযোগ : ওসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হাতিলঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে এক নারী বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তবে কোনো আদেশ দেননি। আরো অধিকতর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালত বাদী ও তার ছেলে এবং তার (বাদীর) মাকে আগামী ৬ অক্টোবর তলব করেন। তাদের সবার জবানবন্দি শেষে মামলা গ্রহণের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদা আক্তার এ তথ্য জানান।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক গোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিন, তানীম রেজা বাপ্পি, সাজিদা তানীম, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামাল ও সাইফুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, বাদী একজন পুত্র সন্তানের মা। তিনি চলতি বছরের ১ মার্চ ঢাকার আদালতে আসামি বাপ্পি, পাপন, জামাল ও ওসি আব্দুর রশিদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। তবে আদালত ওসি আব্দুর রশিদকে বাদ দিয়ে তানীম রেজা বাপ্পি, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানাকে মামলার এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলা হওয়ার পর ২৩ মে রাতে আসামি বাপ্পি, জামাল ও সাইফুল বাদীর বাসায় এসে তাকে মামলা তুলে নিতে বলেন। বাদী রাজি না হওয়ায় জামাল তার (বাদীর) ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখেন এবং বাপ্পি ও সাইফুল তাকে ধর্ষণ করেন। একইভাবে ৩১ মে ফের জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বাদী নিজের ও ছেলের প্রাণনাশের ভয়ে আসামিদের সব অত্যাচার সহ্য করেন। এরপর গত ৫ জুন সকালে বাদীর বাসায় এসে ওসি আব্দুর রশিদ ও পিবিআই পরিদর্শক আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় বাকি আসামিরা তাকে জোরপূর্বক পিবিআই অফিসে নিয়ে যান। তার কাছ থেকে জোরপূর্বক কয়েকটি ব্ল্যাংক সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। এছাড়া তাদের শিখিয়ে দেয়া বক্তব্য অডিও রেকর্ড করেন। সঙ্গে লিখিত নেন।
এরপর বাদী সাত সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হলে গত ২৬ জুলাই পুলিশ হেড কোয়াটার্স আইজিপি বরাবর ঘটনা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ করেন। এ কারণে আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় অপর আসামিরা ২৮ জুলাই বিকালে বাদীকে বাসা থেকে অস্ত্রের মুখে হাসপাতালে নিয়ে পেটের সন্তানকে হত্যা করে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে আসামিরা পতিতাবৃত্তি করাবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রচার চালিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করানো হবে বলে জানায়। এছাড়া আসামিরা আট লাখ টাকা দাবিও করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়