মিতু হত্যাকাণ্ড : আদালতে চার্জশিট দাখিল, শুনানি ১০ অক্টোবর

আগের সংবাদ

নতুন ৮ নদীর পানিবণ্টনে নজর : আলোচনায় সম্মত বাংলাদেশ ও ভারত, আগামী মার্চ এপ্রিলে ঢাকা সফরের সম্ভাবনা ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রীর

পরের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা : স্বামী ননদসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রী ফেনা ওরফে হেনা আক্তারকে (২৮) শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী খোকন মিয়াসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার, অন্য আসামি জালাল মিয়াকে ৩০ হাজার ও জরিনা খাতুনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহতের স্বামী কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের খৈলাকুড়ি গ্রামের খোকন মিয়া, তার বোন জরিনা খাতুন ও আত্মীয় জালাল মিয়া। আর অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য তিন আসামি ইমান আলী, কমলা খাতুন ও সাইদুর রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঘটনার প্রায় ১১ বছর আগে একই গ্রামের খোকন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় হেনা আক্তারের। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে ফাতেমা (৮) ও কুলসুম (৫) নামে দুটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। স্বামী খোকন মিয়াসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন হেনা আক্তারকে যৌতুকের জন্যে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। হেনা আক্তার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে তার পিতার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা, একটি দুচালা টিনের ঘর ও একটি গাভী এনে দেন। কিন্তু এতেও হেনা আক্তারের উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এক পর্যায়ে আরো ১ লাখ টাকা দাবি করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে হেনা আক্তারের স্বামী শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।
২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর গভীর রাতে হেনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামীসহ তার আত্মীয়স্বজন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সাইকুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী খোকন মিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে সবার বিরুদ্ধে আদালাতে চার্জশিট দাখিল করেন থানার এসআই এসএম জহিরুল ইসলাম।
দীর্ঘ শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়