মিতু হত্যাকাণ্ড : আদালতে চার্জশিট দাখিল, শুনানি ১০ অক্টোবর

আগের সংবাদ

নতুন ৮ নদীর পানিবণ্টনে নজর : আলোচনায় সম্মত বাংলাদেশ ও ভারত, আগামী মার্চ এপ্রিলে ঢাকা সফরের সম্ভাবনা ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রীর

পরের সংবাদ

আহত শতাধিক : বিএনপি-আ.লীগ ও পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জ¦ালানি ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো, গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো, পুলিশের গুলিতে নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও শাওনের মৃত্যুর প্রতিবাদে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি। দলটির অভিযোগ, আগে অনুমতি নেয়া হলেও তিনবার সমাবেশের জায়গা পরিবর্তন করেও পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সমন্বিত হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ এনে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের র‌্যালিতে হামলা করে এবং পরে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপির। মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন বাজারের পশ্চিম পাশে মুকুল ফৌজ মাঠ এলাকায় অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও একে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলটির সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনুসারীরা সমাবেশস্থলে মহড়া দেয় এবং সমাবেশ করতে দেয়নি।
মিরপুর ৬ নম্বর মুকুল ফৌজ মাঠে ট্রাক দিয়ে বসানো হয় মঞ্চ। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। সমাবেশে আসার জন্য তিনি রওনা হয়েছিলেন। তবে সংঘর্ষের খরব পেয়ে পরিস্থিতি খারাপ বুঝতে পেরে তিনি ফিরে যান। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সংঘর্ষের পর ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান অভিযোগ করেন, পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মুকুল ফৌজ মাঠের পাশে পুলিশের সঙ্গে কথা শেষ করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই জোনের ডিসির সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি আজ (গতকাল) দুপুরে অনুমতি দিয়েছেন। যখন আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতেছে, তখনই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বিএনপি প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন পিছু হটে ঠিক সে সময় পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পক্ষ নেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীরা যেদিক থেকে আসছে সেদিকেই টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ডিসিকে আগেই বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবো। মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, বিএনপি এখানে কোনো হামলা করেনি। পরিকল্পিতভাবে পুলিশের সহযোগিতায় সরকার দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির ওপর হামলা চালিয়েছে।
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, মিরপুর ৬ নম্বর এলাকায় বিএনপির একটি সমাবেশ চলছিল। তার পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি র‌্যালি যাচ্ছিল। এ সময় নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সেই র‌্যালিতে হামলা চালায়। পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। কারা এ ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান উপকমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা।
প্রসঙ্গত, জ¦ালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি ও পুলিশের গুলিতে ভোলায় নুরে আলম, আবদুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের পর ঢাকার ১৬টি স্পটে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়