২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু : হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৩

আগের সংবাদ

সমান সুযোগের রূপরেখা নেই : ইসির রোডম্যাপ

পরের সংবাদ

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা : ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে ফসল মাছ পোল্ট্রি খামার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশায় কৃষক যখন বৃষ্টির অভাবে আমন ধান নিয়ে শঙ্কায় ছিল, ঠিক তখনই ভারি বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলারবাসী। গত মঙ্গলবার রাত থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত টানা বর্ষণে পুকুর, খাড়ি, নালা ইত্যাদি পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। অনেক রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ফলে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বের হচ্ছে না। হঠাৎ বর্ষণে খেটে খাওয়া মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে বসে আছে। উপজেলার শতাধিক পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ফলে মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। পানিতে নিচু এলাকার আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলাদি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া অনেকের বাড়িঘর ভেঙে গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পানি দ্রুত নেমে না গেলে ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ কৃষকরা।
উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, ভারি বর্ষণে গবিরাকুড়ি এলাকার নিচু এলাকার বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ব্যাপক বর্ষণের কারণে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে ফলে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। যে সব পরিবারের বাড়ি ভেঙে গেছে তারা স্থানীয় আতœীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তিনি জানান। ছাওড় ইউনিয়নের খাড়ি পাহাড় গ্রামের আব্বাস আলী জানান, প্রবল বর্ষণে তাদের গ্রামের ছয় পরিবারের বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে। ঘাটনগর ইউনিয়নের নিস্কিনপুর গ্রামের পোল্ট্রি খামারি শরিফুল ইসলাম জানান, তার খামারে ১ হাজার ২০০টি মুরগি ছিল হঠাৎ বৃষ্টিতে তার সব মুরগি ভেসে গেছে। এতে তার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আকবর আলীর প্রায় ২০০ মুরগি ভেসে গেছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে সুহাতি গ্রামের মাছ চাষি মজিবর রহমান মাস্টার জানান, তার পুকুরের বাঁধ ভেঙে প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, এই বর্ষণে উপজেলার ৩২ হেক্টর জমির আমন ধান ও ৫ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। পানি স্থায়ী হলে ক্ষতি হবে বলে তিনি জানান। তবে পানি নিষ্কাশনের পরামর্শ দেয়ার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন বলে জানান।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তালিকা হাতে পেলেই জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা সহযোগিতা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়