২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু : হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৩

আগের সংবাদ

সমান সুযোগের রূপরেখা নেই : ইসির রোডম্যাপ

পরের সংবাদ

নাটোর থানায় মামলা দায়ের : প্রেমিকের সঙ্গে এসে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, আটক ৫

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরে প্রেমিকের সঙ্গে নির্জনে দেখা করতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শহরের হাফরাস্তা এলাকার একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষক ও দুই সহযোগীসহ মোট ৫ জনকে আটক করে। আটককৃত ধর্ষকরা হলো- শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে রনি আহমেদ, মহম্মদ আলীর ছেলে রকি ইসলাম ও আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান আহমেদ এবং সহযোগীরা হচ্ছে নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মৃদুল আহমেদ ও তার স্ত্রী মৃথিলা খাতুন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার ৫ জনসহ আরো দুজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম উদ্দিন ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, রাজশাহী জেলার মতিহার এলাকা থেকে প্রেমিক আবির হোসেন ও ওই স্কুলছাত্রী একসঙ্গে নাটোরে আসে। সারাদিন তারা দুজনে বিভিন্ন স্থানে ঘুুরে বেড়ানোর পর রাতে আবির তার এক বন্ধুর সহযোগিতায় প্রেমিকাকে নিয়ে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় তার পরিচিত মিথিলা ও তার স্বামী মৃদুলের ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে রাত যাপন করে পরদিন বিয়ে করবে- এমন সিদ্ধান্তও গ্রহণ করে তারা। এজন্য তারা মিথিলা ও মৃদুল দম্পতির বাসাটি ভাড়া নিয়ে থাকতে চায়।
কিন্তু ভাড়ার টাকা নিয়ে বনিবনা না হলে প্রেমিক-প্রেমিকা ফিরে আসতে চায়। এ সময় মিথিলা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রনি, রকি ও সোহানকে খবর দিয়ে আনে। পরে মিথিলা ও তার স্বামীর সহযোগিতায় তারা তিনজন আবিরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তরুণী স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে প্রেমিকসহ স্কুলছাত্রী থানায় হাজির হয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাফরাস্তা এলাকার সাগর হোসেনের বাসার ভাড়াটিয়া মিথিলা ও মৃদুলকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার আমহাটি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকরা বিলের মধ্য দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের পিছু ধাওয়া করে সকালে তেলকুপি মদনহাট বিল থেকে রনি, রকি ও সোহানকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে ভিকটিমকে পরীক্ষা করে মামলা দায়েরের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়