২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু : হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৩

আগের সংবাদ

সমান সুযোগের রূপরেখা নেই : ইসির রোডম্যাপ

পরের সংবাদ

দুদিনের টানা বৃষ্টিতে স্থবির ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম নজরুল ইসলাম, গাজীপুর থেকে : গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে গাজীপুরের টঙ্গী অংশের ঢাকা-ময়নসিংহ মহাসড়ক। এতে দুর্ভোগে পড়ে ওই মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী কর্মজীবীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বিকল্প সড়কসহ পায়ে হেঁটে চলাচল করেছে অনেকে। গাজীপুরে মহাসড়ক স্থবির হওয়ার কারণে রাজধানীর মহাখালী থেকে উত্তরা, অন্যদিকে মিরপুর থেকে উত্তরা পর্যন্ত ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত দুদিনের বৃষ্টিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে বড় বড় গর্তসহ খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহনে ধীরগতি তৈরি হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। টঙ্গীর ব্রিজে আগে বড় বড় একাধিক গর্ত তৈরি হওয়ায় যানবাহন আটকে যাচ্ছে।
এছাড়া টঙ্গীর মিল গেইট এলাকায় বিআরটি প্রজেক্টের কাজে মহাসড়কে বসানো যন্ত্রপাতির কারণে মহাসড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এতে এক লেনে ঢাকায় গাড়ি প্রবেশ করছে ও বের হচ্ছে। এছাড়া টঙ্গী চেরাগআলী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত মহাসড়ক জুড়েই খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় গর্তে আটকে যাচ্ছে বাস, ট্রাক, পিক আপসহ অন্যান্য যানবাহন। আর এতেই স্থবির হয়ে পড়ছে মহাসড়ক।
মহাসড়কে কথা হয় বাকির নামে এক পথচারীর সঙ্গে তিনি জানান, বুধবার সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশ গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাসযোগে রওনা হয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় আব্দুল্লহপুর এসে পৌঁছান। ঢাকার উত্তরার দিকেও যানজট অব্যাহত থাকলে তিনি পায়ে হেঁটে বিকল্প পথ ধরে যান।
অন্য একজন কামাল জানান, খুব ভোরে বাসা থেকে বের হয়ে বেলা ১১টায় আব্দল্লাহপুর পাড় হতে পারেননি। পরে ঢাকায় না গিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
ময়মনসিংহগামী বাসের চালক আব্দুল কাদির জানান, দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় ঢাকার মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ চলাচল করা যেত। এখন যানজটের কারণে প্রায় ৫-৬ঘণ্টা লাগছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বুধবার সকালে চেরাগআলী থেকে আব্দুল্লাহ্পুর পর্যন্ত যানজটের তৈরি হয়।
ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে। বৃষ্টিতে তৈরি হওয়া মহাসড়কের খানাখন্দ কিছু জায়গাতে বালুসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানি এবং যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে মেরামত করা রাস্তা গুলি মুহূর্তের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিআরটি প্রকল্পের এলিভেটেড অংশের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খান দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসে টঙ্গীর মিলগেইট এলাকায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে মাঠে থাকার অনুরোধ করেন।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, বর্তমানে টেমপুরারি (অস্থায়ী) সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, আমরা এখনো পার্মানেন্ট (স্থায়ী) রোড করিনি, তাই গাড়িগুলো স্লো হয়ে গিয়েছে। চাইনিজদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়