২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু : হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৩

আগের সংবাদ

সমান সুযোগের রূপরেখা নেই : ইসির রোডম্যাপ

পরের সংবাদ

গৃহকর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২০১৭ সালে তৎকালীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়। অনুরূপভাবে বর্তমান সিটি করপোরেশন ট্যাক্স বাড়ানোর জন্য ১৯৮৬ সালের দি সিটি করপোরেশন ট্যাক্স রুলস অর্ডিন্যান্সের ২১ ও ২২ ধারার বিধি মোতাবেক বাড়ি ভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লক্ষণীয় ২-৩ মাস আগে চসিক হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়নের ওপর পূর্বের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহকরের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছিল সে অনুযায়ী কর আদায়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা যারা শহরে বসবাস করি আমাদের ক্ষুদ্র আয়ে পরিবারের ব্যয়ভার মিটানোর পর নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে গৃহকর বৃদ্ধি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। বর্ধিত গৃহকর বিদ্যমান করের তুলনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৬-১০ গুণ পর্যন্ত অযৌক্তিক হারে বৃদ্ধি করায় আন্দোলনও হয়েছিল। অবিলম্বে উক্ত অধ্যাদেশ জনস্বার্থে বাতিলপূর্বক চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের তথা চট্টগ্রামবাসীদের দাবিমতে ‘দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-গুণ করো, তার উপরে কর ধরো’ এই নীতিকে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। অপরদিকে গ্যাস, ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাসে চট্টগ্রামবাসী অনেক টানাপড়েনে জীবন অতিবাহিত করছেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে, কোভিড-১৯সহ পুরো বিশ্বের মানুষ যখন অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত বিশেষ করে ডলার সংকট, জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ সংকটসহ সর্বক্ষেত্রে যখন সারাদেশে হাহাকার চলছে ঠিক সেই মুহূর্তেই চসিক কর্তৃক হোল্ডিং ট্যাক্স পূর্বের চেয়ে ৬-১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি অনেক কষ্টসাধ্য। মালিক ও ভাড়াটিয়ার ওপর কর বৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতা, বোম্বে, দিল্লিসহ অন্য শহরগুলোতেও ঘরের মেঝের আয়তনের ওপর ভিত্তি করেই গৃহকর ধার্য করা হয়। ঘরের মালিকরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একতরফা সিদ্ধান্ত বাতিল করে গৃহকর বর্ধিত না করার জন্য বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। বিষয়টি বৃহত্তর জনস্বার্থে অপরিহার্য বলেই প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ সবিনয়ে কামনা করছি। ৩৬ বছর আগের অযৌক্তিক অমানবিক অধ্যাদেশটি অবিলম্বে বাতিলপূর্বক স্থাপনার মান, ধরন, সম্পত্তির লোকেশন ও আয়তনের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করা হোক। হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে অধ্যাদেশটি বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ করছি।

এস এম ফরিদুল আলম
বাড়ি- ৮২৯/এ, রোড-৭, এম এম আলী রোড, চট্টগ্রাম।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়