কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনেরও নেতা নেই, নির্বাচনেও নেতা নেই। বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে কিন্তু ওই সরকারের নেতা কে তা কেউ জানে না। মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার। গতকাল বুধবার ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে একথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিবকে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় কি ঢেউ আসবে? তাদের আন্দোলন গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। আগামী জাতীয় নির্বাচন পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের মাধ্যমে বিএনপির সব বিষোদগার আর অপপ্রচারের জবাব দেয়া হবে। আজকে বিএনপি শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়, তাই তারা এখন নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি যদি আবারো আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে জবাব দেয়া হবে। তবে আওয়ামী লীগ কখনো আক্রমণ করবে না কিন্তু আক্রান্ত হলে এর জবাব দিতে প্রস্তুত।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের মধ্যে অন্তঃকলহ দূর করতে হবে। দলের দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলদের নেতা বানানো যাবে না। দল যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে তাহলে নির্বাচনে সফলতা আসবে না, তাই অবশ্যই দলের ভেতরে দ্ব›দ্ব দূর করতে হবে। ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এবং ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু।