গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

স্ট্যান্ড রিলিজের ৮ দিনেও দায়িত্ব ছাড়েননি শিক্ষা অফিসার : ভেদরগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছা. সুলতানা রাজিয়াকে স্ট্যান্ড রিলিজ করার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। অবমুক্ত হওয়ার তারিখের পরে পেরিয়ে গেছে ৮ দিন। রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কোনো ব্যবস্থা নেননি। সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে মানুষ। এতে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে সেবা প্রত্যাশীদের।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, গত ২৯ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) মো. আব্দুল আলীম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ভেদরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছা. সুলতানা রাজিয়াকে ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শিক্ষা অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়। আদেশে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য বলা হয় তাকে। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবে মর্মেও উল্লেখ করা হয় ওই আদেশে। কিন্তু মোছা. সুলতানা রাজিয়া সরকারি আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখানো (১২ সেপ্টেম্বর ২০২২) দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ৭ সেপ্টেম্বর কয়েকটি পরিত্যক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই ওই নিলামে অংশ নিতে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। কীভাবে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত থাকা অবস্থায় তিনি নিলাম কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, নিলামে আমি স্বাক্ষর করিনি। মোছা. সুলতানা রাজিয়া আর আমি দুজনেই উপস্থিত ছিলাম। শুনেছি শিক্ষা অফিসার বদলি হয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। তিনি মৌখিকভাবে কাউকে দায়িত্ব দিয়েছেন কিনা তাও আমি জানি না। উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার এস এম মশিউল আজম হিরক বলেন, বদলি হয়েছে শুনেছি। সিনিয়র এটিইওর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন কিনা আমার জানা নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমি দায়িত্ব দিয়ে দেব। নতুন আরেকটি আদেশ করানোর জন্য তদবির করছি। এ নিয়ে লেখালেখি হলে ক্ষতি হবে। বিষয়টি এড়িয়ে গেলে খুশি হব। এর আগে মোছা. সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০-২২ জন প্রধান শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে সিøপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ দাখিল করেন। কয়েক মাস আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা এ ঘটনা তদন্ত করেছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এরপর থেকেই ভেদরগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে নানা টানাপড়েন চলছিল। তার বদলির সংবাদে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছিলেন সাধারণ শিক্ষকরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এরশাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি স¤প্রতি যোগদান করেছি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম। আমার আগে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুব হোসেন। অতিরিক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুব হোসেন বলেন, তাৎক্ষণিক অবমুক্তির পরে আর দায়িত্বে থাকার সুযোগ নেই। কীভাবে তিনি দায়িত্বে আছেন আমি বলতে পারব না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়