গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

ধর্ষকের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছাত্রীর চিঠি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় মুরাদুজ্জামান মকুল (৪৮) নামে এক প্রভাষকের কয়েক দফা ধর্ষণের শিকার হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ধর্ষকের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছে। ওই স্কুলছাত্রীর নিজের হাতে লেখা ১০ লাইনের চিঠিটি গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর ডাকযোগে পাঠানো হয়।
মুরাদুজ্জামান মকুল উপজেলার শৈলমারি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে এবং জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক। ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মুরাদুজ্জামান মকুল প্রায় ৪ মাস ধরে বগুড়া জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
ওই স্কুলছাত্রী প্রধানমন্ত্রীকে মা সম্মোধন করে লেখা চিঠিতে বাবার বয়সি ধর্ষককে পাক হায়নার সঙ্গে তুলনা করেছে। গত ৫ এপ্রিল পিরিয়ড চলাকালে ধর্ষণের সময় নরক যন্ত্রণার চিত্র তুলে ধরেছে। পা ধরেও ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ধর্ষককে নরপশুর সঙ্গে তুলনা করে তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে মেয়েটি। বিচার না পেলে বাঁচব না বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ধুনট পৌর এলাকার দক্ষিণ অফিসারপাড়ায় এক প্রভাষক দম্পতির মেয়ে ওই ছাত্রী। স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। মুরাদুজ্জামান মকুল স্কুলছাত্রীর বাবার বাসায় ভাড়া থাকতো। এ অবস্থায় মুরাদুজ্জামান মকুল ৩ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক দফা ধর্ষণ করে মেয়েটিকে এবং ওই ধর্ষণের দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১২ মে মুরাদুজ্জামান মকুলে বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই ধর্ষণের ভিডিও ধারণকৃত ২টি মোবাইল ফোনসহ মুরাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
উল্লেখ্য স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলাটি প্রথমে ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা তদন্ত করেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার অভিযোগ করে মামলার বাদী। ফলে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় একই অভিযোগে ওসি কৃপা সিন্ধু বালাকে ধুনট থানা থেকে পাবনা জেলায় বদলি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়