কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সবকিছুতেই না বলার যে রাজনীতি সেটির অবসান হওয়া প্রয়োজন। যেখানে না বলা দরকার অবশ্যই সেখানে না বলবে। কিন্তু সবকিছুতেই না বলা আর সবসময় সাংঘর্ষিক রাজনীতি করা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে, যেটি বিএনপি করছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-পিআইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ-বিএসপি আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সচিব মো. শাহ আলম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ জালাল, সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুর বারী মঞ্জু প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন যে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন। ক’দিন আগে উনিই বলেছেন, উনারা আন্দোলনে আছেন, আবার এখন বলছেন নামবেন- এখন কোনটা সঠিক সেটা বোঝা মুশকিল। সাড়ে ১৩ বছর ধরে আমরা শুনছি উনারা আন্দোলনে নামবেন। আর উনাদের আন্দোলন মানে হচ্ছে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা, গাড়িঘোড়া ভাঙচুর, নিজেরা নিজেরা মারামারি করা, পুলিশের ওপর হামলা করা। এবার যদি এগুলো করা হয় তাহলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
সংবাদপত্র পরিষদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশে সাড়ে ১২শ’ পত্রিকা, অথচ পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে দেখি সেখানে এত পত্রিকা নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রবান্ধব, সাংবাদিকবান্ধব সে কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে অনেক পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে কাগজে কিন্তু সেগুলো নিয়মিত বের হয় না, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। অনেক পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার।
যেসব পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না এমন সংখ্যা চারশ’র বেশি। তারমধ্যে দুইশ’ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে সংশোধনেরও সুযোগ থাকবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের কাজ মানুষের কাছে শুধু সংবাদ পরিবেশন করাই নয়, সমাজ ও জাতিকে পথ দেখানো, এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হয়। মানুষ যদি স্বপ্ন না দেখে, যদি শুধু হতাশা দেখে, আশা না থাকে, সে এগুতে পারে না।
এদিকে গতকাল তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয় ও এর সংস্থাগুলোর মনোনীত কর্মচারীদের হাতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। বিকালে সচিবালয়ে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ কাউসার আহাম্মদ, আইন কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান গাজী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রেজাউল করিম ও অফিস সহায়ক মোসাম্মদ সেলিনা বেগমের হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কারের সনদ, ক্রেস্ট ও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ তুলে দেন তিনি।