গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ তবুও কিনতে পারছে না উপকূলবাসী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এআর সোহেব চৌধুরী চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ থাকলেও ঘরে বসে নেই ভোলার চরফ্যাশনের জেলেরা। ছোট-বড় নৌকা, ট্রলার ও জাল নিয়ে নদী ও সাগরে ছুটছে তারা। বর্তমানে মেঘনা ও তেঁতুলিয়াসহ গভীর সাগরে জেলের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এ কারণে চরফ্যাশন উপজেলার ছোট বড় প্রত্যেকটি ঘাটেই ইলিশ বেচাকেনার হাকডাকে মহাজন, শ্রমিক, মাঝি-মাল্লাসহ বরফকলের ব্যবসায়ীরাও রয়েছে বেশ আমেজে।
অন্যদিকে টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণে ঘরবন্দি হয়ে আছে চরফ্যাশন উপকূলীয় এলাকার হাজারো মানুষ। বৃষ্টির কারণে হাটবাজার ক্রেতাশূন্য। তবে মাছের বাজারে রয়েছে ভিড়। কিন্তু দাম বেশি থাকার কারণে পছন্দের ইলিশ কিনতে পারছে না তারা।
মূলত নদী কিংবা সাগর থেকে জেলেরা পর্যাপ্ত ইলিশ পেলেও তা সরাসরি স্থানীয়দের মধ্যে খুব কম বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ইলিশ ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের মোকামগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। তাই স্থানীয় বাজারে ইলিশের সংকট তৈরি হয়েছে।
চরফ্যাশনের একটি বাজারে ইলিশ কিনতে এসেছেন মাইনুল হাসান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম বাজারে ইলিশের দাম কম। কিন্তু দাম শুনে চমকে উঠেছি। ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশের হালি (চার পিচ) আট হাজার ৫০০ টাকা।’ আরেক ক্রেতা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাছের দাম বেশি। মাঝারি ইলিশের হালি সাড়ে চার হাজার টাকা। ছোট এক হালি ইলিশের দাম এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। যা আমাদের নি¤œমধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব না।’
চরফ্যাশন মাছ বাজারের ইলিশের খুচরা বিক্রেতা আবু তাহের জানান, ‘ভারতে চালান যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন শহরের মোকামগুলোতে ইলিশের চাহিদা বেশি। তাই মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার ইলিশের চালানসহ সাগরের বড় ট্রলারগুলো সরাসরি শহরের আড়তে গিয়ে ইলিশ বিক্রি করে। যার ফলে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম বেশি।
উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নে অবস্থিত বৃহৎ মাছের বাজার শামরাজ মৎস্যঘাটের আড়তদার ইসমাইল হোসেন ও মোশারফ হোসেন বলেন, ‘দুই কারণে ইলিশের বাজার নষ্ট হয়েছে। সরকার কর্তৃক ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও ভারতে ইলিশ রপ্তানির ফলে আড়ত ও খুচরা বাজারে ইলিশের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে।’
মেঘনার জেলে বশির উল্লাহ মাঝি বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর ফলে এখন দুই লিটারের দাম দিয়ে এক লিটার ডিজেল কিনতে হচ্ছে। নদী ও সাগরে যেতে আমাদের খাবার সামগ্রী নিয়ে যেতে হয়। তাই ইলিশ বেশি দামে বিক্রি করলেও আমাদের পকেটে কিছুই থাকে না। এছাড়া আড়তে মাছ আসলে পাইকার বেশি থাকে। তখন হাকডাকে বেশি দাম ওঠে। এরপর পাইকাররা খুচরা বাজারে বেশি দামে ইলিশ বিক্রি করে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়