গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেই চিকিৎসককে আটক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয়েছে শাকির বিন ওয়ালী নামের সেই চিকিৎসককে। তিনি ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) হেফাজতে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, তার বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ ছিল। ছাত্রাবস্থায়ও একই অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর জামিনে থাকলেও তিনি জঙ্গিবাদ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি।
সূত্র জানায়, শাকির বিন ওয়ালীকে জঙ্গিবাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার সঙ্গে স¤প্রতি কুমিল্লায় নিখোঁজ হওয়া ৭ শিক্ষার্থীর কোনো যোগাযোগ বা সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কোন সংগঠনের সঙ্গে তিনি জড়িত সে বিষয়েও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ওই চিকিৎসক কোনো একটি সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এর বেশি কিছু এখনো জানি না। ওই চিকিৎসকের বাবা ডা. এ. কে. এম ওয়ালী উল্লাহও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছেলে অপহরণ হয়নি, হেফাজতে আছে এমন খবর পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম।
সূত্র জানায়, শাকির বিন ওয়ালী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০২০ সালে এমবিবিএস পাস করেন। বর্তমানে তিনি এফসিপিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শাকির ছাত্রজীবনে রেটিনা কোচিং সেন্টারে পড়াতেন। এমবিবিএস পড়ার সময় অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দেড় মাস কারাগারে ছিলেন। তার বাবা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ওয়ালী উল্লাহ ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সহসভাপতি। সংগঠনটি ইসলামি ও ডানপন্থি ঘরানার চিকিৎসকদের।
আটক হওয়া শাকিরের বাবা বলেন, রবিবার বিকাল ৩টার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সিভিল পোশাকে ৪ জন ব্যক্তি আমার বাসায় প্রবেশ করেন। আমি তখন পেশাগত কাজে বাইরে ছিলাম। তারা আমার দ্বিতীয় সন্তান, সদ্য এমবিবিএস পাস করা ডা. শাকির বিন ওয়ালীকে বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে নিয়ে যান। তাদের নাম-পরিচয় ও ফোন নম্বর জানতে চাইলে শুধু বলেন, আমরা সিআইডির লোক। একই দিন রাত ১০টার দিকে আবার সাদা পোশাকে ৪/৫ জন সিআইডি পরিচয়ে আমার বাসায় আসেন। তারা আমার ছেলের রুম তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান। তাদের নাম-পরিচয় ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে তখনো শুধু বলেন, আমরা সিআইডির লোক।
পরদিন সোমবার সকালের দিকে ওয়ালী উল্লাহ সিআইডির মালিবাগ অফিসে যান এবং সেখানে রিসিপশনে যোগাযোগ করেন। তারা শাকির বিন ওয়ালীর ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ছেলেকে তুলে নেয়ার বিষয়ে রামপুরা থানায় জিডি করতে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়