কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীতে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ১৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে সামাজিক অস্থিরতা ও পণ্যমূল্য বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। যাত্রী অধিকার দিবস-২০২২ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে বাস ভাড়া নৈরাজ্য প্রতিরোধে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে পরিবহন খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রীদের মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে। ঢাকার গণপরিবহনে প্রতিদিন ১৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নৈরাজ্য হচ্ছে। ৫ লাখ রাইডশেয়ারিং যানবাহনে যাত্রী প্রতি গড়ে ৭৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। রাজধানীর ৫ হাজার বাস মিনিবাস প্রতিদিন যাত্রীদের কাছ থেকে মাথাপিছু গড়ে ১৭ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। এতে ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রী দৈনিক গড়ে ৮ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় তর্কের জেরে গণপরিবহনগুলোতে ২৫ জন যাত্রী লাঞ্ছনার শিকার হন। বাস থেকে ফেলে ১৪ যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন। এসব ঘটনা গণপরিবহন ব্যবহারে যাত্রী সাধারণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্যের আঁতুড়ঘর হচ্ছে বিআরটিএ। বিআরটিএ কয়েকজন কর্মকর্তা বাস মালিকদের পরামর্শে কাজ করে। তারা চাঁদাবাজি বন্ধের পদক্ষেপ নেয় না। পরিবহন শ্রমিকরা মালিকদের কাছে অসহায়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল। এছাড়া যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।