গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘর্ষে আর্মেনিয়ার ৪৯ সেনা নিহত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, আজারবাইজানের সঙ্গে গত সোমবার রাতভর সংঘর্ষে তার দেশের ৪৯ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। আর্মেনিয়ার পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে নিকোল পাশিনিয়ান বলেন, রাতভর আর্মেনিয়ার অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে এবং লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে দুই দেশের দীর্ঘদিনের বিরোধ নতুন করে সামনে এলো। ২০২০ সালে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখের অধিকাংশ এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় আজারবাইজান।
গত সোমবারের সংঘাতের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। এছাড়া ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
নতুন করে সংঘর্ষের জন্য পরস্পরকে দায়ী করে আসছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কয়েকটি অবস্থানে গুলিবর্ষণ করেছে আর্মেনীয় সেনারা। হামলায় মর্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে সেনা ও সামরিক অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজারবাইজানের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাদের সীমান্তে আর্মেনীয় সেনারা গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করেছে, অস্ত্র মোতায়েন করেছে এবং সোমবার রাতে খনন অভিযান চালিয়েছে। এর বিপরীতে আজেরি বাহিনীর পদক্ষেপ ছিল সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তুমুল গোলাগুলি চলমান রয়েছে। আজারবাইজানের বড় ধরনের উসকানির পর এই গোলাগুলি শুরু হয়েছে। আর্মেনীয় বাহিনীও পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকার সময় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে মধ্যে প্রথম দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড বলে স্বীকৃত অঞ্চলটি দখল করে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী। অঞ্চলটিতে বিপুল সংখ্যক আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত মানুষের বসবাস।
২০২০ সালের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে ফের অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয় আজারবাইজান। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ওই সময় সংঘাতের অবসান ঘটে। এরপর থেকে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার চুক্তির জন্য দুই দেশের নেতারা একাধিকবার মিলিত হয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়