মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা : চবি শিক্ষকের বরুদ্ধে অভিযোগপত্র

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : গবেষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে নগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।
গত রবিবার আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) পরিদর্শক মোক্তার হোসেন। আগামী ২৫ অক্টোবর এই আদালতে অভিযোগপত্রটি যাচাই-বাছাই শেষে গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৬ মে ‘মুক্তিযুদ্ধ সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা, বিতর্কিত চবি শিক্ষক আনোয়ারের গবেষণা বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি’ শিরোনামে দৈনিক ভোরের কাগজে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ভোরের কাগজে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ১৭ মে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চবি শিক্ষক আনোয়ারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নেয়ার আবেদন করেন ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান তানভীর। শুনানি শেষে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সেটিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ২৩ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ এটির তদন্ত শুরু করে। পরে ডিবি পুলিশ তদন্ত করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গেøাবাল জার্নাল অব হিউম্যান সোশ্যাল সায়েন্স : সোশিওলজি অ্যান্ড কালচার নামে একটি জার্নালে ‘রিলিজিয়াস পলিটিকস অ্যান্ড কমিউনাল হারমোনি ইন বাংলাদেশ : আ রিসেন্ট ইমপাস’ শিরোনামে আনোয়ার হোসেনের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল আনোয়ার হোসেন বিভাগীয় সভাপতি বরাবর সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির আবেদন করেন। এতে তিনি ওই প্রবন্ধ সংযুক্ত করেন। ভোরের কাগজে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে আরো কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, প্রকাশিত প্রবন্ধে একাধিকবার শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হলেও একবারো তিনি ‘জাতির জনক’ কিংবা ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধকে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছিল বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রবন্ধে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়