মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

মহাদেবপুরে আত্রাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আবু বকর সিদ্দিক, নওগাঁ থেকে : মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর উজান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় মেসার্স হ্যাপি ট্রেডার্সের মালিক হাজি মোয়াজ্জেম। এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে প্রকৃত ইজারাদার হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত। এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন ইজারাদার আশিক চৌধুরী শাহিন। যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হয় তাহলে তার ইজারার টাকা ফেরত দেয়ার জন্যও জেলা প্রশাসকের আবেদন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলা ১৪২৯ সালে আত্রাই নদীর ভাটি অংশের বালুমহালটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ (আয়কর ও ভ্যাটসহ ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার ১২৫) টাকায় ইজারা নেন বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আশিক চৌধুরী শাহিন। নদীর উজান অংশ খননের কারণে ১৪২৯ সালের জন্য বালুমহালটির ডাক বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু আগের ইজারা গ্রহিতা মেসার্স হ্যাপি ট্রেডার্সের মালিক ও মহাদেবপুর সদরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হাজিসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ইজারা বহির্ভূত জায়গা মহিষবাথান থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে কম দামে বিক্রয় করছেন। ফলে ইজারা গ্রহিতার বালু বিক্রয় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে লোকশানের মুখে পড়েছেন ইজারাদার।
এ বিষয়ে প্রকৃত ইজারাদার গত ৮ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ইজারাবহির্ভূত জায়গা থেকে মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তার ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে বালু বিক্রয় বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে তার ইজারার টাকা উঠবে না। কাজেই ইজারাবহির্ভূত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য তিনি আবেদন করেছেন। যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হয় সে ক্ষেত্রে তার ইজারার টাকা ফেরত দেয়ার জন্যও তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে আগের ইজারা গ্রহিতা মেসার্স হ্যাপি ট্রেডার্সের মালিক মোয়াজ্জেম হাজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিনের বালু ব্যবসায়ী। আমি কোনো সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করিনি। আমি মহাদেবপুরে থাকি আত্রাই নদীর বালুমহাল ছিল একটি। কিন্তু গত বছর থেকে জেলা প্রশাসক মহাদেবপুর দুটি ভাগে ভাগ করেছে। একটি ভাটা অংশ এবং অন্যদিকে উজান অংশ।
মহাদেবপুর উজানের অংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের খনন কাজের জন্য ইজারা বন্ধ রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। পরে তিনি বলেন, আমি মহিষবাথান বালুমহালের পয়েন্ট থেকে আমার সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে এসেছি। আগের যে বালু উঠানো ছিল সেগুলো কম দামে বিক্রয় করছি।
এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবিতে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়