মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপে নজর কাড়তে মরিয়া তিউনিসিয়া

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর হলো বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটি। চলতি বছরের নভেম্বরে পর্দা উঠবে এই আসরের। চার বছর পর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে প্রতিটি দলকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। সেই চ্যালেঞ্জ জয় করে মূল পর্বে খেলার সুযোগ পায় ৩২টি দেশ। তেমনি চ্যালেঞ্জ জয় করে বিশ্বকাপের এই আসরের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়া।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত তিউনিসিয়া ১৯৫৬ সালে স্বধীনতা লাভ করে। এর আগে দেশটি ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। মাত্র ১১.৮২ মিলিয়ন জনসংখ্যার এ দেশটি আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ৯১তম। যদিও দেশটির অধিকাংশ জায়গা সাহারা মরুভূমির দখলে। তিউনিসিয়া ১৮৮১ সাল থেকে ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। আধুনিক তিউনিসিয়ার স্থপতি হাবিব বোরগুইবা দেশটিকে স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেন এবং ৩০ বছর ধরে দেশটির রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিউনিসিয়া উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে স্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এখানকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। প্রায় সব তিউনিসীয় নাগরিক মুসলিম। পর্যটকদের জন্য বর্তমানে তিউনিসিয়া একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। এর আবহাওয়া, নয়নাভিরাম বেলাভূমি, বিচিত্র ভূ-প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলি, সাহারার মরুদ্যান এবং সুরক্ষিত প্রাচীন রোমান প্রতœতত্ত্বগুলো সব দেশের পর্যটককে আকর্ষণ করে।
তিউনিসিয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তিউনিসীয় ফুটবল ফেডারেশনের পরিচালনায় আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিউনিসিয়া জাতীয় ফুটবল দল অংশগ্রহণ করে। ১৯৬০ সালে তিউনিসিয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সদস্যপদ লাভ করে। এবং একই সালে তাদের আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্যপদ লাভ করে। তিউনিসিয়া প্রথমবারে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে ১৯৫৭ সালে। এবং প্রথম খেলায় লিবিয়াকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে। হাম্মাদি আগ্রেবি অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে এই দলের জাতীয় স্টেডিয়াম বলা হয়। প্রায় ৬০ হাজার মানুষ একই সঙ্গে স্টেডিয়ামটিতে খেলা উপভোগ করতে পারে। দলের প্রধান কার্যালয় তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে অবস্থিত। জালাল কাদরী বর্তমানে দলটির ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন ইউসুফ মাসকানী। দলের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলেছেন রাধি জাইদি এবং সর্বাধিক গোল করেছেন ইসাম জামো (৩৬)। ফিফার সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান ৩০ তম। সর্বোচ্চ ছিল ২০১৮ সালে ১৪ তম এবং সর্বনি¤œ ৬৫ ছিল ২০১০ সালে। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ১৯৬০ সালে গণতান্ত্রিক চীনের বিপক্ষে। ইতালিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ৮-১ গোলে জয়লাভ করে তারা। আবার ১৯৬০ সালেই হাঙ্গেরির বিপক্ষে ১০-১ গোলে পরাজিত হয় তারা যা তাদের সর্বোচ্চ গোল খাওয়ার রেকর্ড। ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেয় তিউনিসিয়া। এখন পর্যন্ত ৬ বার অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রুপ পর্বেই সীমাবদ্ধ ছিল তারা। তবে আফ্রিকান নেশনস কাপে ২০ বার অংশ নিয়ে ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। আফ্রিকান নেশন চ্যাম্পিয়নশিপেও ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে দেশটি। রাদি জাইদি, খালিদ বাদ্রা, কাইস গুদবান, ইসসাম জিমায়া এবং ওয়াহবি খাজরির মতো খেলোয়াড়রা তিউনিসিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
তবে কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখাতে পারে কারতাজের ঈগল খ্যাত এই তিউনিসিয়া। ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের আসরে মাঠে নামবে তিউনিসিয়া। গ্রুপ ডি তে তিউনিসিয়ার অপর দুই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া এবং বর্তমান চ্যম্পিয়ন ফ্রান্স। দলে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় না থাকার পরও এবার কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে দেশটি। যেখানে কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করতে পারে মোহাম্মদ সালাহর দেশ মিসর। তাই বিগত আসরগুলোর চেয়ে এই আসরে সবদিকেই এগিয়ে থাকবেন ইউসুফ মাসকানীর নেতৃত্বাধীন তিউনিসিয়া।
– আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়