মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

প্রথম দিন শিষ্যদের পরখ করলেন শ্রীরাম

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রদিবেদক : অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি দলগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে মিরপুরে তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। গতকাল টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরণ শ্রীরামের অধীনে প্রথম দিনের ক্যাম্প শুরু করে টাইগাররা। এশিয়া কাপ, ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রীরাম। এশিয়া কাপের মিশনে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ দল। সামনেই ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই দুই প্রতিযোগিতায় ভালো করতে শ্রীরামের পরামর্শের ওপর নির্ভর করতে চাইছে বাংলাদেশ।
শ্রীরামের ক্লাসে অনুশীলন করতে গতকাল হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে আসেন ক্রিকেটাররা। সকাল ৯টায় ক্রিকেটারদের রিপোর্টিং করতে বলা হয়েছিল। তার আগেই হাজির সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তরা। ১০টায় অনুশীলন শুরুর আগে ক্রিকেটারদের নিয়ে চলে বৈঠক। সেখানে দায়িত্ব, ভূমিকা বুঝিয়ে দেন টেকনিক্যাল শ্রীরাম। এরপর বাইরে এসে গা গরম করে ম্যাচের আবহে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ঐচ্ছিক অনুশীলনে ক্রিকেটারদের নিয়মিত যাতায়াত থাকলেও বিশ্বকাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজকে সামনে রেখে ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু হয়। যেখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বাইরে থাকা একঝাঁক খেলোয়াড়কেও ডাকা হয়। এরপর মিরপুরের মাঠে ম্যাচ শুরু হয়, যেখানে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করে সাব্বির রহমান। সাব্বিরের সঙ্গে ওপেন করেন মেহেদী মিরাজ। যদিও মিরাজ ২ বার সুযোগ পেয়েও রান তুলতে ব্যর্থ হন। তবে ওপেনার সাব্বির বেশ ভালোই ব্যাটিং করেন। তিনি সংগ্রহ করেন ৩২ রান। হার্ড হিটার এই ব্যাটার প্রথম দিনে শ্রীরামের ক্লাসে লেটার মার্কই পেয়েছেন।
এদিকে শ্রীরামের ক্যাম্পে ওপেনার লিটন দাস, ব্যাটার ইয়াসির রাব্বিও ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকেও মাঠে দেখা গেছে। লিটন মাঠে ফিরেই উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদের জন্য এই ক্যাম্প বাধ্যতামূলক নয়। এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর শ্রীরাম বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের দেখতে চেয়েছিলেন। ক্যাম্পে টি- টোয়েন্টির জন্য মানানসই এমন কাউকে পেলে শ্রীরাম তাকে দলে নেবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। এজন্য বিসিবির এইচপি দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেটারদের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। তিনদিনের ক্যাম্প শেষে শ্রীরাম নিজেই বিশ্বকাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজের দল বেছে নেবেন। তাকে সেই স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এজন্য তিনদিন ক্রিকেটারদের পাখির চোখে পরখ করবেন তিনি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে বেশ নড়েচড়েই বসেছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। জানা গেছে, ১৪ তারিখের মধ্যেই ঘোষিত হতে পারে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল। ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের নিউ জিল্যান্ডে উড়াল দেয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়েই বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড যাবে। সেখানে স্বাগতিক দল ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সেখান থেকে বিশ্বকাপ মঞ্চে।
এদিকে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা এরই মধ্যে দল সাজানোর কাজ শুরু দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন মাথায় রেখেই দল সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ দলে অন্তত ৮ থেকে ৯ জন স্পেশালিস্ট ব্যাটার থাকবেন। এশিয়া কাপে ১৭ জনের দলে প্রথমে ছিলেন মাত্র দুজন ওপেনার। পরে নাইম শেখকে নিয়ে সে সংখ্যা বাড়ানো হয়।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যাদের দিয়ে ওপেন করানো হয়েছে বা যে দুজনকে ওপেনার হিসেবে খেলানো হয়েছে সেই মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান বিশ্বকাপে ওপেনার হিসেবেই দলে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তাদের সঙ্গে অটো চয়েজ থাকবেন লিটন দাস। এর বাইরে আরো একজন ব্যাকআপ ওপেনারের দলভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ আরো একজন প্রতিষ্ঠিত ওপেনারকে বিকল্প ধরেই দলে নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেই তালিকায় আছেন তিনজন। কাকতালীয়ভাবে সবাই বাঁহাতি-নাইম শেখ, সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এর বাইরে ব্যাটার কোটায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, এশিয়া কাপের সহঅধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রæব অটোমেটিক চয়েজ। এছাড়া মিডলঅর্ডারে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ইয়াসির আলী রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহানের নাম আছে। রিয়াদের অভিজ্ঞতা ও বিগ ম্যাচ টেম্পারমেন্ট ইতিবাচক। কিন্তু তার হাত খুলে খেলতে না পারা বড় মাইনাস পয়েন্ট। তাই রিয়াদের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছে, সেই ইয়াসির রাব্বি শতভাগ ফিট কি না, সেটিও দেখার বিষয়। ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন খেলার বাইরে থাকাটাও রাব্বির বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকার পথে অন্তরায় হয়ে যেতে পারে। এর বাইরে অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের দলভুক্তিও মোটামুটি নিশ্চিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়