মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

দেড় কোটি টাকার মেশিন লাখ টাকায় বিক্রি! সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের জন্য ২০১৩ ও ২০১৪ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকায় তিনটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল কালার আলট্রাসাউন্ড মেশিন কেনা হয়। যা সম্পূর্ণ অকেজো দেখিয়ে ‘ভাঙারির দামে’ মাত্র লাখ টাকা মূল্যে বিক্রি করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি কমিশন থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। দুই-একদিনের মধ্যে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হবে।
এছাড়া এ ঘটনায় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করতে পৃথক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন সংস্থাটি। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে তারা হলেন- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অফিস সহায়ক মো. মাসুদ রানা (সুমন), অফিস সহায়ক (সাময়িক বরখাস্ত) মোজাফফর হোসেন বাবুল, স্টোরিলাইজার কাম মেকানিক ও ওয়ার্ড মাস্টার মো. বিল্লাল হোসেন এবং ইউনি হেলথ কেয়ারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার রাজীব। দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানা যায়, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের জন্য ২০১৩ ও ২০১৪ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকায় তিনটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল কালার আলট্রাসাউন্ড মেশিন কেনা হয়। যা অন্তত ১০ বছর সক্রিয় থাকার কথা। কিন্তু মাত্র তিন বছরের মাথায় নতুন মেশিনগুলো দফায় দফায় নষ্ট হতে থাকে।
অলসভাবে পড়ে থাকা যন্ত্রপাতি মেরামত দেখিয়ে সরকারি লাখ লাখ টাকা গচ্চাও যায়। সবশেষ ২০২০ সালে সম্পূর্ণ অকেজো দেখিয়ে মেশিন তিনটি স্টোর রুমে পাঠানো হয়।
এরপর স্টোর রুম থেকে হঠাৎ একদিন নষ্ট মেশিনগুলো উধাও হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা গেল, নষ্ট মেশিন লুকিয়ে বেসরকারি কোম্পানি ইউনি হেলথ কেয়ারের কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
মাত্র এক লাখ ১০ হাজার টাকায় দেড় কোটি টাকার আলট্রাসাউন্ড মেশিন ‘ভাঙারির দামে’ বিক্রি হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বেহাত হওয়া মেশিনগুলো আবার ফেরত দেয়া হয়। নাটকীয়তা এখানেই শেষ নয়। ফেরত আসা মেশিন যাচাই-বাছাই করে দেখা গেল, অন্য মেশিন জমা দেখিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে অসাধু চক্র। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিজিটাল কালার আলট্রাসাউন্ড মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতি ও নষ্ট মেশিন হঠাৎ গোডাউন থেকে হাওয়া হওয়ার পেছনের গল্প খুঁজতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও পেছনের বড় বড় কারিগর এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে বলে দুদক অনুমান করছে। এছাড়া মেশিনগুলো দ্বিগুণের বেশি দামে ক্রয় করা হয়েছিল বলে তথ্য পেয়ে পৃথক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। দুদক সূত্র জানায়- এ ঘটনায় দুদকের কাছে দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন আসামিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়