মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

দশমিনায় সেতু ভেঙে গেছে ছয় বছর আগে : নির্মাণ না হওয়ায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিপুল কর্মকার, দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া নদীর ওপর ভেঙে যাওয়া সেতুটি নির্মাণ হবে কবে এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারো। উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানিয়েছে, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য নদীর দুই পাড়ে মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা (সয়েল টেস্ট) করে শক্ত মাটির লেয়ার না পাওয়ায় ওই স্থানে সেতু নির্মাণ কাজ বাতিল করে দিয়েছে জাইকা। জাইকা সেতু নির্মাণ বাতিল করে দেয়ায় কবে নির্মাণ করা হবে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি কেউ জানেন না। ছয় বছর আগে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতু ভেঙে থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুরা নৌকায় করে সুতাবাড়িয়া নদী পারাপার হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দশমিনা উপজেলার খারিজা বেতাগী হাট সংলগ্ন জমিন মৃধা বাজারের ওই সেতু দিয়ে সুতাবাড়িয়া নদী পার হয়ে দশমিনা উপজেলা সদর, খারিজমা বাজার, বড় গোপালদী বাজার, ঠাকুরের হাট বাজার, সানকিপুর বাজার, বেতাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড় গোপালদী দাখিল মাদ্রাসাসহ তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন শত শত ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা একটি ছোট ডিঙি নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুতাবাড়িয়া নদী পারাপার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন সুতাবাড়িয়া নদীর সেতুটি ব্যবহার করতেন। জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ২০১৪ সালে এডিপির ১০ লাখ টাকা অর্থায়নে পুরাতন লোহার মালামাল দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি বালু ভর্তি কার্গোর ধাক্কায় সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে নুসরাত জাহান নামে ৫ বছরের একটি শিশু নিহত এবং ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এরপর নতুন করে সেতুটি নির্মাণের জন্য জোরালো দাবি ওঠে।
খারিজমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি বিধ্বস্থ হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বর্তমানে ছোট ডিঙি নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ সুতাবাড়িয়া নদী পারাাপারা হচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতুটি পূনরায় নির্মাণ না হওয়ায় নদীর পূর্ব পাড়ের মানুষের দশমিনা উপজেলা সদরে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, জনগণের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানোর পরে জাইকা সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারা সেতু নির্মাণ বাতিল ঘোষণা করায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে সেতু নির্মাণ।
এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন বলেন, জাইকা সেতুটি নির্মানের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দীর্ঘদিন নদীর দুই পাড়ের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। কিন্তু মাটির লেয়ার সেতু নির্মাণের জন্য উপযোগী না হওয়ায় তারা সেতু নির্মাণ চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ভাবে অর্থ সংগ্রহ করা গেলে মানুষের চলাচলের জন্য ওখানে সেতু নির্মাণ করে দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়