মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

আতঙ্কে খামারিরা : গুরুদাসপুরে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজে’ আক্রান্ত ১২ গরু

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রায় ১২০০ গরু ভাইরাসজনিত চর্মরোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়েছে। এতে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিসহ গরুর মালিকরা। এদিকে রোগ মোকাবিলায় উপজেলাব্যাপী ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প করে ৬০০ গরুকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
উপজেলা পৌর সদর ও ইউনিয়নের খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের খামারের ও ব্যক্তি পর্যায়ের গরুগুলো চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথমে চামড়ার উপরি ভাগে টিউমারের মতো উপসর্গ দেখা দিয়ে পক্সের মতো বের হয়ে ঘাঁ হয়ে যায়। অতঃপর গরুর সারা শরীরে গুটি গুটি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিটি গুটি লাল বর্ণ ধারণ করে রক্তাক্ত ক্ষত হয়ে যায়। ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার পর মাংস পঁচে খসে পড়ে। এছাড়া এই রোগে আক্রান্তের পর থেকে গরুগুলো ঠিক মতো খাবার খেতে পারে না। ফলে পর্যায়ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলাব্যাপী ছোট-বড় মিলে ৮২টি খামার ও গার্হস্থ্য পর্যায়ে ১ লাখ ২০ হাজার ১১৪টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার উদবারিয়া, ধারাবারিষা, যোগেন্দ্রনগর, দুর্গাপুর, চাপিলা, সাবগাড়ী, বিলহরিবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গরুর ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সরজমিনে আক্রান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১২শর মতো গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গরুর ভাইরাসজনিত এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ নেই। তবে এলাকার গরু মালিকরা জানান, এই রোগ নিরাময়ে আক্রান্ত এলাকায় গোটাপক্স নামের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবাড়িয়া, বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর ও যোগেন্দ্রনগর এলাকায় ৬০০ গবাদিপশুকে ওই টিকা দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত বাকি গরুগুলোকে পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা দেয়া হবে বলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন।
সাবগাড়ী গ্রামের খামারি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার ছোট খামার। খামারের পাঁচটি গরুর মধ্যে দুটি বাছুর গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গরুর পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুটি গুটি হয়ে ফুলে আছে। তবে পায়ের অংশে রক্তাক্ত হয়ে মাংস পচে যাচ্ছে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শে ইনজেকশন, অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ দিয়েছি। পাঁচটি গরু মধ্যে তিনটি গরু এখনো সুস্থ রয়েছে। আক্রান্ত দুই বাছুর গরুকে পৃথক করে রাখা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই যে সব এলাকায় এই রোগে বেশি গরু আক্রান্ত হয়েছে সে সব এলাকায় টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই রোগে কোনো গরু মারা যায়নি। তাই খামারি ও কৃষক পর্যায়ের সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে ক্যাম্প করছি এবং গবাদি পশুর ভ্যাকসিন নিশ্চিত করছি। এই রোগে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসা করালে এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই আক্রান্ত গরু সুস্থ হয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়