খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপে ১০ লাখ দর্শকদের জন্য যত আয়োজন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : নভেম্বরে পর্দা উঠছে ফুটবল বিশ্বকাপের। প্রথমবারের মতো আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। আয়োজক দেশগুলোর মধ্যে আয়তনে কাতারই সবচেয়ে ছোট দেশ। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ১০ লাখের বেশি মানুষ ভ্রমণ করবে দেশটিতে। দর্শকদের জন্য আয়োজনের কোনো কমতি রাখতে চাচ্ছেন না আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
৪ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ২৭ লাখ। বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শক ও সমর্থকদের জন্য নানা প্রস্তুতি শুরু করেছে দেশটি। স্বাভাবিকভাবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়া শুরু হয়েছে। বাড়ছে হোটেল ভাড়া। তবে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য রাখেন নানান সুবিধাও। বিশ্বকাপের পুরো সময় জুড়ে দোহা বন্দরে অবস্থান করবে দুটি বিলাসবহুল প্রমোদতরি। তাতে থাকবে নয়টি সুইমিং পুল, ৩ হাজার ৮৯৮টি কেবিন, ৪৫টি বার ও ১০টি ডাইনিং সুবিধা। এছাড়া থাকবে টেনিস কোর্ট ও ড্রাই স্লাইড। নাপিতের দোকান কিংবা পার্লার থাকবে কাছাকাছি। দোহা থেকে ১০ মিনিটের দূরে অবস্থিত শিপগুলোয় রাতযাপনে খরচ হবে ৬০৫ থেকে ২ হাজার ৭৭৯ ডলার।
কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইতোমধ্যে ৩টি পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ সম্পন্ন করেছে দেশটি। এছাড়া কাতার কর্তৃপক্ষ ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার রুম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি রাতের ভাড়া হবে ৮৪ ডলার থেকে শুরু করে ৮৭৪ ডলার অবধি। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকবে প্রয়োজন অনুপাতে রান্নাঘর, ওয়াশিং মেশিন ও ব্যায়ামাগার। এছাড়া কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে স্থানীয়রা চাইলে তাদের বাসা ভাড়া দিতে পারবে। টিকেটধারীদের চাওয়া অনুসারে বিশেষভাবে নির্মিত ফ্যান ভিলেজেও থাকতে পারবেন তারা। তবে সেখানে প্রতি রাতে খরচ পড়বে ২০৭ ডলার। দোহার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হবে ফ্যান ভিলেজ। আরব সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে রাখা হবে এক হাজার বেদুইন তাঁবু। তার মধ্যে ২০০টি হবে বিলাসবহুল। মরুভূমিতে হলেও তাঁবুগুলো নিরাপত্তা দেবে রাতের ঠাণ্ডা ও দিনের উত্তাপ থেকে। রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান আবাসন কমিটির প্রধান উমর আল জাবের।
ফুটবল বিশ্বকাপে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে উদ্যোগ নিচ্ছে কাতার। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ন্যাশনাল নিউজের খবর অনুসারে, ২০১৪ সালের কাছাকাছি অবস্থিত হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর থেকে দোহা বিমানবন্দর আধা অবসরে রয়েছে।
এতদিন বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতেন কাতার রাজপরিবারের সদস্যরা সহ ভিআাইপি এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা। কুয়েতের জাজিরা এয়ারওয়েজ, আরব আমিরাতের ফ্লাইদুবাই, ওমানের সালাম এয়ার ও তুরস্কের পেগাসাস এয়ারলাইনস ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দোহা বিমানবন্দরে টিকেট বিক্রি শুরু করেছে।
বিশ্বকাপ চলাকালে প্রতিদিন দেশটিতে গড়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার যাত্রীর আগমন ঘটবে বলে ধারণা করছে কাতার এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বিমানবন্দরে চাপ বেড়েছে ১৮ শতাংশ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত জুন মাসেই দেশটির হামাদ বিমানবন্দর তিন মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়