খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

ছাত্রলীগের ৬ উপগ্রুপ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি বর্ধিত করার দাবিতে অবরোধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মূল্যায়ন করে কমিটি বর্ধিত করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রলীগের ৬ উপগ্রুপ। গতকাল রবিবার দুপুর সোয়া দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়ি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কাটা পাহাড় হয়ে জিরো পয়েন্ট এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটক আটকে দেয় তারা। দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটক অবরোধ করে, টায়ার জ¦ালিয়ে কমিটি বর্ধিত করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে তারা ফটক খুলে দেয়। বিক্ষোভে অংশ নেয়া শাখা ছাত্রলীগের ৬ উপগ্রুপ হল ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ এবং উল্কা। সব গ্রুপই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দীনের অনুসারী।
বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে বেশকিছু দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্যস্থানে ক্রমানুসারে পুনর্মূল্যায়ন করা, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, আমরা এর আগেও আমাদের দাবিগুলো বিভিন্নভাবে জানিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে আজকে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা এখনো অহিংস আন্দোলনে সীমাবদ্ধ আছি। আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আমরা সহিংস আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
আরেক সহসভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো জানাচ্ছি। আমাদের সহিংস আন্দোলনে যেতে বাধ্য করবেন না।
ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হলে এর দায়ভার শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানান ৯৪ জন পদধারী নেতা। এ সময় আগস্টের পর থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়