খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

চিতলমারীতে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশায় চরম জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : চিতলমারীর গ্রামীণ সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব সড়কের বেশির ভাগ ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা । কোনো কোনো সড়কের মাঝখানে পানি জমে থাকে দীর্ঘদিন ধরে। ১০ থেকে ১৫ বছর আগে ইটের সলিং দেয়া এসব সড়কে দুর্ঘটনা এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরবানিয়ারী উত্তরপাড়ায় একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে চলমান ওই গ্রামীণ সড়কটির ইটের সলিং উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সড়কের মধ্যে বড়বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। বড়বাড়িয়া মুন্সিপাড়া বাসার মাস্টারের বাড়ির সামনে কাঠের পুল ভেঙে গেছে, যা মেরামতের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চলাচলকারী জনসাধারণ। শিবপুর ছোটপোল এলাকার গ্রামীণ সড়কটি প্রায় ১৫ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ গ্রামীণ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোক চলাচল করে। চরবানিয়ারী নেসারিয়া দাখিল মাদ্রাসা এলাকার গ্রামীণ সড়কটির বেহালদশা হওয়ায় বৃষ্টির মৌসুমে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। কাঁদা ভর্তি সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে ভীষন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া কলাতলা ইউনিয়নের চর চিংগড়ী সড়ক, বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক, খড়মখালী-বলেশ্বর নদী সড়ক, চিতলমারী থানার পেছনের সড়ক, হিজলা স্বপ্নপুর এবং কুরালতলা গ্রামের সড়ক, চরশৈলদাহ গুচ্ছগ্রামের সড়কসহ উপজেলায় প্রায় অর্ধশত গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
চরবানিয়ারী ইউনিয়নের উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, এই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে এলাকার প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রী দুই স্কুলে আসা যাওয়া করে। কিন্তু রাস্তার এমন বেহাল দশা যে সেখান দিয়ে চলাচল করা প্রায় অসাধ্য। প্রতিনিয়ত অনেক ছাত্র-ছাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হয়। অনেকে বৃষ্টির সময় জামাকাপড় ভিজিয়ে স্কুলে আসে। আমরা শিক্ষকরাও ভীষন কষ্ট করে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করি। এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলও সহজে বাজারে নিতে পারে না এবং অসুস্থ রোগীদের দ্রুত চিতলমারীতে নিয়ে আসারও উপায় নাই। সড়কটি আশু সংষ্কার দরকার।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, গ্রামীণ সড়কগুলোর এমন দুরবস্থা দেখে আমি নিজেও অনেক সময় বিব্রত হই। কিন্তু সড়কগুলো সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন সেই পরিমাণ টাকা আমরা পাচ্ছি না। সম্প্রতি একনেকে বাগেরহাট প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্ট অনুমোদন হয়েছে। ওই প্রজেক্ট চালু হলে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক সংস্কার করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়