খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

উত্থান দিয়ে শুরু, পতনে শেষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : উত্থানে শুরু, পতনে শেষ। গতকাল রবিবার দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক বাড়লেও শেষ পর্যন্ত তা টিকে থাকল না। দুই বাজারেই কমেছে সূচক। সবকটি মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিরটের দাম। তবে ডিএসইতে লেনদেন কমলেও বেড়েছে সিএসইতে।
এর আগে গত সপ্তাহসহ টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকে পুঁজিবাজার। চার সপ্তাহের টানা উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৪১১ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন বাড়ে ১৯ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এ পরিস্থিতিতে গতকাল লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের শুরুতে এমন বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকেনি। বরং লেনদেনের সময় গাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়েছে দরপতনের তালিকা। ফল সবকটি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।
অবশ্য শুরুতে মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেনের সময় ১০ মিনিট গড়ানোর আগেই দাম বাড়ার চেয়ে দাম কমা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি হয়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্যেও বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান প্রথমদিকে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেয়। এতে লেনদেনের প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা সূচক ঊর্ধ্বমুখীই থাকে। কিন্তু লেনদেনের শেষ আধঘণ্টায় গড়পড়তা সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। ফলে সূচকের পতন আটকানো যায়নি। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯টির এবং ১০৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫৩৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৮৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ২০১ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিকস।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬০টির এবং ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়