খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

অব্যবস্থাপনা চরমে : রাজধানীর সড়কে অসহনীয় যানজট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর যানজটের চিত্র দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জরুরি কাজের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বের হয়ে অনেকেই পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। গতকাল রবিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীর প্রায় সব সড়কে ছিল তীব্র যানজট। সকালের দিকে যানজট কিছুটা কম থাকলেও দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত তা অসহনীয় অবস্থায় পৌঁছায়। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণেই নগরীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, পল্টন, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, মহাখালী, খিলগাঁও রেলগেট, বাসাবো, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, ফকিরাপুল, বনানীসহ সব এলাকায় ছিল তীব্র যানজট। প্রতিটি মোড় অতিক্রম করতে যানবাহনগুলোকে ৩ থেকে ৪টি সিগন্যাল অপেক্ষা করতে হয়। গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের সংখ্যাও বেড়েছে। এছাড়া সড়কের একটি বড় অংশজুড়ে পার্কিং ও অস্থায়ী দোকানপাট এবং চালকদের ইচ্ছামতো বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, সড়কে অব্যবস্থাপনার কারণেই যানজট তীব্র হচ্ছে। যানজট নিরসনে শুধুমাত্র পুলিশকে দায়িত্ব দিলেই অবস্থার উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সব অব্যবস্থাপনার দায় পুলিশের নয়। এখানে সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, ডেসা, ওয়াসা, বিটিআরসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেয়া উন্নয়ন প্রকল্প, পরিবহন কোম্পানি ও নাগরিকদের দায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, সড়কের ওপর যেসব প্রতিষ্ঠান খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করে তারা অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো সমন্বয় করে না। যে কোনো কাজের জন্য সমন্বয় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু কোনো ধরনের সমন্বয় না থাকায় যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, রাস্তার পরিমাণের চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি- এটাও একটা অব্যবস্থাপনা। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব। এখন ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে গণপরিবহন চলাচলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
সড়কে যানজটের নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান। তবে তারাও হিমশিম খাচ্ছেন। মাঠপর্যায়ে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, যানবাহন চালকরা রাস্তায় নিয়ম মেনে চলাচল করে না। ট্রাফিক আইন মানে না। ফিটনেসবিহীন যানবাহনও বিআরটিএ থেকে অনায়াসে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছে। এখানে পুলিশের কিছু করার নেই। সড়কে যাত্রী, পথচারী বা চালক- কেউ-ই আইন মেনে চলে না। তাই যানজট সমস্যা কমছে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেন, নগরীর অনেক রাস্তায় কাজ চলার কারণে তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। অনেক স্থানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও মেট্রোরেলের কাজ চলছে। ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ভোর থেকে রাত পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে মানুষকে সেবা দিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়