খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যাবে না

আগের সংবাদ

দুই সংকটে তৈরি পোশাক খাত : সংকট কাটলে ৮ বছরে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের আশা

পরের সংবাদ

অবৈধ সম্পদ অর্জন : স্ত্রীসহ এমপি জিন্নাহর বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্ত্রীর নামে আড়াই কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতা ও বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও তার স্ত্রী মোহসীনা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। দুই-একদিনের মধ্যে এ মামলা দায়ের করা হবে। তবে মামলায় মোহসীনা আক্তার প্রধান আসামি ও শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ সহযোগী আসামি হতে যাচ্ছেন। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জিন্নাহর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার স্ত্রী মোহসীনা আক্তারের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পায় দুদক। এরপরই মোহসীনার বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। তারই অংশ হিসেবে সম্পদ বিবরণী তলব করে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি নোটিস জারি করে দুদক। এরপর ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মোহসীনা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণ দুদকের সচিব বরারব দাখিল করেন।
সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকার স্থাবর ও ২ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ১৯৭ টাকার অস্থাবর সম্পদের বিবরণ দেন তিনি। সব মিলিয়ে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ ২ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা থেকে আয় দেখানো হয় ১০ লাখ টাকা। অথচ ২০১৯-২০২০ কর বর্ষে ১৯(ই) ধারায় ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯ টাকা জরিমানা দিয়ে ৫৪ লাখ টাকা আয় প্রদর্শন করেছেন তিনি। ২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত প্রদর্শিত মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৬ হাজার ৮৯২ টাকা আয়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ টাকার। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে মোট ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের প্রমাণ পায় দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহসীনা একজন গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস নেই। তার এক ভাই সৌদি আরবে থাকেন। নিজ ব্যাংক হিসাবে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৪৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা রেমিট্যান্স আসে। কিন্তু ওই টাকা তাদের দান করেছেন কিনা তার কোনো তথ্য ও রেকর্ডপত্র প্রদর্শন করেননি তিনি। দুদক মনে করে, মোহসীনা তার স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধ করার জন্য তার সৌদি প্রবাসী ভাইয়ের টাকা আনার বিষয়টি সাজিয়েছেন। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৪২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেয়ার মাধ্যমে ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়