একদিনে ২৭৮ করোনা রোগী শনাক্ত

আগের সংবাদ

দেশীয় কয়লা উত্তোলনে গুরুত্ব : বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নীতি ও পরিবেশ, বিশ্বে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে

পরের সংবাদ

মেয়র আতিকুল ইসলাম : এডিস অত্যন্ত অভিজাত মশা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এডিস অত্যন্ত অভিজাত মশা উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই মশা বাসাবাড়িতে, আশপাশের আঙিনায়, ছাদবাগানে অব্যবহৃত কোনো টায়ার, মাটির পাত্র, রঙের কৌটা, ফুলের টব কিংবা ডাবের খোসায় জমে থাকা পানিতে প্রজনন ও বংশ বিস্তার করে।’ গতকাল শনিবার সকালে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এসব কথা বলেন মেয়র।
অভিযানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
ঢাকা উত্তর সিটির ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের আজমপুরের ফরিদ মার্কেট, মুন্সি মার্কেট, আফজাল সরণি, বায়তুল ফালাহ মসজিদ রোড, জনাব আলী সড়ক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে এই মশা নিধনে আমরা চেষ্টা করছি। নগরবাসীরা সচেতন হয়ে নিজ নিজ বাসাবাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখলে, কোথাও পানি জমে থাকতে না দিলে, এডিস মশাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।’
নির্মাণাধীন ভবনের মালিক ও ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হুঁশিয়ার করে মেয়র বলেন, ‘অনেকেই এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিন্দাস।
তারা ভাবছেন, কেউ তো আসবে না, অভিযান করবে না। সবাইকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আমরা কিন্তু প্রতিটি এলাকায় যাচ্ছি। ড্রোনের মাধ্যমেও বাসাবাড়ির ছাদবাগান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগামী সাত দিনে বিশেষ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘রবিবার থেকে ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
১০ অঞ্চলে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই অভিযান পরিচালনা করবেন। বিশেষ এই অভিযানে যেখানেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, সেখানেই জরিমানা করা হবে। কোনো ভবন বা স্থাপনার মালিক কিংবা প্রতিনিধি না থাকলে নিয়মিত মামলা দেয়া হবে।’
‘তিন দিনে একদিন; জমা পানি ফেলে দিন’ সিটি করপোরেশনের এই স্লোগান স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনারা জানেন, এলাকায় কিংবা বাড়ির আশপাশে কোথায় এডিস মশার প্রজননের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। সেসব বিষয় ‘সবার ঢাকা অ্যাপ’-এর মাধ্যমে আমাদের জানান। এছাড়া সরাসরি হটলাইনের মাধ্যমেও অভিযোগ করার সুযোগ রয়েছে। ঘরের মধ্যে লার্ভার চাষ করে কেউ অপরাধী হবেন না; বরং নিজ নিজ বাসাবাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কার রেখে পুরস্কৃত হোন।’
মেয়রের উপস্থিতিতে বায়তুল ফালাহ মসজিদ সড়ক এলাকায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সরকার প্রোপার্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের নির্মাণাধীন একটি ভবনে প্রচুর এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। পরে ডিএনসিসি অঞ্চল-১-এর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন ওই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। জরিমানার টাকা অনাদায়ে ছয় মাসের জেল দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়