একদিনে ২৭৮ করোনা রোগী শনাক্ত

আগের সংবাদ

দেশীয় কয়লা উত্তোলনে গুরুত্ব : বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নীতি ও পরিবেশ, বিশ্বে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে

পরের সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি : বারো জলদস্যু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বঙ্গোপসাগরে ১৬টি ট্রলার ও নৌকায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১২ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। গভীর সমুদ্র এবং বাঁশখালীতে ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ইলিশ মাছ, মাছ ধরার জাল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার চান্দগাঁও ক্যাম্পের চট্টগ্রাম মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার আনসার মেম্বারের ছেলে আনোয়ার (মূলহোতা), কবির আহমদের ছেলে লিয়াকত (মাঝি), আব্দুল কাদেরের ছেলে মনির, আবুল খায়ের (ইঞ্জিন ড্রাইভার), নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, হুমায়ুন, সাহেদ, সাদ্দাম, মো. আতিক, মো. এমরান ও আমানউল্লাহ।

র‌্যাব জানায়, গত ২৭ আগস্ট সাগরে ৯টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এ সময় খবর আসে জলদস্যুরা সাগরের বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব গভীর সমুদ্রে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। এতে দস্যুতার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ১২ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের বহনকারী একটি বোট, ৩ হাজার পিস ইলিশ, মাছ ধরার বড় জাল, ৩টি ওয়ান শুটার গান, একটি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা ও ছুরি, একটি বাইনোকুলার, ৪টি টর্চ লাইট, দুটি চার্জ লাইট, দুটি হ্যান্ড মাইক, ৭০টি মোবাইল ফোন, নগদ ৫ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৭ অধিনায়ক বলেন, সাগরে বেশি মাছ না পাওয়ায় বোটের মালিক বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনছার তার মাঝি-মাল্লাদের নিয়ে জলদস্যু বাহিনী তৈরি করে। সে নিজেই মূল পরিকল্পনাকারী এবং নিজের ছেলেকে ডাকাত সর্দার বানিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য অল্প পরিশ্রমে মেশি মুনাফা করা। এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি বোটে ডাকাতি করেছে বলে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। তারা ৩টি গ্রুপ একসঙ্গে কাজ করত। এ বাহিনীর একটি গ্রুপকে আনছার মেম্বার পরিকল্পনার কথা জানাত। আরেকটি গ্রুপ ডাকাতি করা মাছ আড়তদারদের কাছে বিক্রি করত। অন্য গ্রুপ বোট ডাকাতির পাশাপাশি জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করত। গ্রেপ্তার আনোয়ারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বাঁশখালী থানায় জলদস্যুতা, সস্ত্রাস, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজী, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণকারী সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়