একদিনে ২৭৮ করোনা রোগী শনাক্ত

আগের সংবাদ

দেশীয় কয়লা উত্তোলনে গুরুত্ব : বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নীতি ও পরিবেশ, বিশ্বে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে

পরের সংবাদ

পুলিশসহ ১৩ হত্যা মামলা : ৩৪ বছর পালিয়ে ছিলেন চরমপন্থি সাইফুল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম ওরফে মানিক ওরফে ছাত্তার (৫৬) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত শুক্রবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল একজন চরমপন্থি। ১৯৮৭ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় হামলা চালিয়ে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে খুন করাসহ চরমপন্থিকে ছিনিয়ে নেয়া ও অস্ত্র লুট মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনি। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম গত ৩৪ বছর পলাতক ছিলেন। সাইফুল ইসলাম ওরফে মানিক ওরফে ছাত্তারকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল অরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি গত ১৯৮৪ সালে চরমপন্থী নেতা তারেকের মাধ্যমে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, লাল পতাকা ওরফে সর্বহারা দলে যোগ দেন। এর মধ্যেই নানা অপকর্ম চালিয়ে যান তিনি। গত ১৯৮৮ সালে সর্বহারা দলের তারেকের নেতৃত্বে চাটমোহর থানার খোতবাড়ি এলাকায় মাঠের সম্মুখ লড়াইয়ে ১২ নকশালপন্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে অন্যদের সঙ্গে সাইফুল গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুদাসপুর থানার অস্ত্র লুটের সত্যতা বেরিয়ে আসে। পরে জামিনে মুক্ত হলেও আর আদালতে হাজিরা দেননি তিনি।
তিনি আরো বলেন, গত ২০০৪ সালে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলে তারেকের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তার অনুসারীরা। তখন সাইফুল রাজধানীতে চলে আসেন। রাজধানীতে কিছুদিন বাসের হেলপারি করেন। ট্রাকে মালামাল লোড আনলোডের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তারপর নারায়ণগঞ্জে তার আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। ওই আত্মীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি দেয়াসহ সবার কাছে তাকে ছাত্তার নামে পরিচয় করিয়ে দেয়। ধীরে ধীরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান স্তিমিত হয়ে আসলে তারা আবার মাঝে মাঝে এলাকায় গিয়ে সর্বহারা দলের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। গত ৭-৮ বছর আগে চরমপন্থী দলের অন্তর্দ্ব›েদ্ব তারেক নিহত হলে তিনি সর্বহারা দলের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। ইতোমধ্যে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পরিবর্তন করে রূপগঞ্জ এলাকার ভোটার হিসেবে নিজেকে ছাত্তার নামে প্রতিষ্ঠিত করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। তবে এরই মধ্যেই তিনি আটক হন। যদিও এখন চরমপন্থী দলের সদস্যদের সঙ্গে তার আর কোনো যোগাযোগ নেই বলে জানান সাইফুল। থানা লুট ও ১২ নরহত্যা মামলাসহ তার নামে মোট ৫টি মামলা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়