একদিনে ২৭৮ করোনা রোগী শনাক্ত

আগের সংবাদ

দেশীয় কয়লা উত্তোলনে গুরুত্ব : বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নীতি ও পরিবেশ, বিশ্বে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে

পরের সংবাদ

নারীকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত : জনরোষ থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিলেন আ.লীগ নেতা!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : পাওনা টাকা চাওয়ায় এক নারীকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সুরুজ্জামাল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয় জনগণের তোপের মুখে পড়ে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষা করেন তিনি। এতেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। পানিতে চুবিয়ে তুলে গণধোলাই দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সায়দাবাদ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে থানায় নেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে ওই নেতাসহ তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে থানায় না নিয়ে পথেই তাদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বগুড়ার এক নারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সুরুজ্জামালের কাছে ১৫ লাখ টাকা পান বলে দাবি করেন। এ নিয়ে সায়দাবাদ বাজারের আব্দুর রশিদের দোকানে একটি বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালে হঠাৎ পালানোর চেষ্টা করলে ওই নারী সুরুজ্জামালের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। এ সময় সুরুজ্জামাল ওই নারীর মাথায় ঘুষি ও ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করেন।
নারীর ওপর নির্যাতনের এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয় জনতা ওই নেতাকে ধাওয়া করলে তিনি পানিতে ঝাঁপ দেন। এ সময় পানি থেকে তুলে এনে গণধোলাই দেয় বিক্ষব্ধ জনতা। পরে ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহ কামাল জনতার হাত থেকে কৌশলে ওই নেতাকে ছাড়িয়ে নেন।
যাদুরচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহা কামাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সুরুজ্জামাল পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাকে আমরা উদ্ধার করি। এ সময় তার পরনের পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি ছেঁড়া ছিল। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পাই এক নারীকে ধাক্কা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এতে মানুষ

ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাওয়া দিলে তিনি পানিতে ঝাঁপ দেন। পরে ওই নারীসহ সুরুজ্জামালকে থানায় পাঠানো হয়।
নির্যাতিত নারী লাভলী বেগম বলেন, সুরুজ্জামাল চাচার সঙ্গে আমার ঢাকায় পরিচয় হয়। তিনি নিজেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বড় ভাই বলে পরিচয় দেন। তাকে ২০১৯ সালে আমার বদলি এবং আমার মামাতো ভাইয়ের চাকরির জন্য ১৫ লাখ টাকা দেই। কিন্তু তিনি সেই টাকা না দিয়ে আমাকে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তার কাছে আমি ৭/৮ বার এসেছি টাকা ফেরত নেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি শুধু তালবাহনা করেন, টাকা না দেন না। শুক্রবার রাতে তাকে সায়দাবাদ বাজারে দেখা পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমার গায়ে হাত তোলেন। এ সময় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাওয়া করেন। তিনি উপায়ন্তর না দেখে বাজারের পাশে একটি ডোবার পানিতে ঝাঁপ দেন।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সুরুজ্জামাল মিয়াকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তছির কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে বলেন এ বিষয়ে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বললে তিনি সব বলবেন।
এ বিষয়ে রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়