একদিনে ২৭৮ করোনা রোগী শনাক্ত

আগের সংবাদ

দেশীয় কয়লা উত্তোলনে গুরুত্ব : বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নীতি ও পরিবেশ, বিশ্বে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে

পরের সংবাদ

চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভোগান্তি : তেলের দাম বাড়ায় প্রায়ই বন্ধ থাকে জেনারেটর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এ আর সোহেব চৌধুরী চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : ভাদ্রের গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তার ওপর বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে শিডিউল করে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। যদিও চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পূর্বেও ছিল না নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ। এখন এ সমস্যা আরো বেড়েছে। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় প্রচণ্ড গরমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে সৃষ্টি হয়েছে ত্রাহি দশা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এদিকে ওই হাসপাতালে একটিমাত্র জেনারেটর রয়েছে। তবে ডিজেল বা পেট্রল বেশি খরচ হওয়ার কারণে বেশির ভাগ সময়ই এ জেনারেটর বন্ধ থাকে। এতে প্রচণ্ড গরমে রোগীদের ভরসা এখন হাত পাখা বা ব্যাটারি চালিত ফ্যান।
এদিকে দীর্ঘ বছর ধরে জেনারেটরের এই সমস্যার সঙ্গে নতুন করে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকছে। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। জানা যায়, হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও বিপুলসংখ্যক রোগীদের চিকিৎসা সেবা চলছে ৫০ শয্যার জনবল ও পুরাতন সরঞ্জাম এবং আসবাবপত্র দিয়ে। মূলত প্রায় সাত লাখ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। তবে এই হাসপাতালে এখনো নতুন শয্যা ও বিছানাপত্রসহ চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং একটি লিফট সংকট রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে রোগীরা।
সেবা নিতে আসা রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গরিবদের ভরসা সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু এ হাসপাতালে রোগীদের হাত পাখা নিয়ে আসতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে থাকেন না কোনো ডাক্তারও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের জন্য চারতলায় শয্যা রয়েছে। ভবনে লিফট নেই, তাই মুমূর্ষু রোগীদের সিঁড়ি দিয়ে ওপরের চারতলায় নিয়ে যেতে পারছিলেন না স্বজনরা। এছাড়া বেডের অভাবে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ছাড়াই রোগীদের হাসপাতালের করিডর ও মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের রুমে একটি আইপিএস সিস্টেমের ফ্যান রয়েছে। যা মাত্র আড়াই ঘণ্টা সার্ভিস দেয়। এছাড়াও রুমের এসিটিও দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে আছে। ফলে গরমের মধ্যে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাহাবুব কবির বলেন, ‘জনবল ও শয্যা সংকটের মধ্যেই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। আমাদের একটি পুরনো জেনারেটর রয়েছে। তবে তেলের দাম বেশি থাকার কারণে সেটি বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ জেনারেটরটিতে প্রচুর পরিমাণে ডিজেল দরকার হয়, কিন্তু সেই পরিমাণ বরাদ্দ আমাদের নেই। এছাড়া হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও রোগী ভর্তি থাকে ১৫০ থেকে প্রায় ২০০ জন। কিন্তু হাসপাতালের বরাদ্দ হচ্ছে ৫০ শয্যার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়